১৯৯৫ সালে ছেন ছু শেং গিটারের প্রেমে পড়েন এবং গিটার বাজানো শিখেন। ১৯৯৭ সালে তিনি নিজের প্রথম গিটার পান। ১৯৯৯ সালে তিনি বাসার কাছাকাছি একটি পানশালায় খণ্ডকালীন গায়ক হিসেবে কাজ করেন।
২০০০ সালে ১৯ বছর বয়সী ছেন ছু শেং হাই স্কুলের লেখাপড়া বন্ধ করে হাইনান ত্যাগ করেন। তিনি চীনের শেনচেন শহরে গিয়ে নিজের সংগীতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন।
২০০০ সালের জুলাই মাসে ছেন ছু শেং শেনচেনের এক পানশালায় খণ্ডকালীন গায়কের চাকরি পান। একই বছরের অগাস্ট মাসে তিনি শেনচেন আওছি সংগীত কোম্পানি এবং পানশালার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শেনচেন সংগীত উত্সবে অংশ নেন।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছেন ছু শেং শেনচেন রেডিও'র 'আমি নিজের গান গাই' শীর্ষক অনুষ্ঠানে নিজের রচিত গান পরিবেশন করেন। তিনি টানা এক সপ্তাহ ধরে এই রেডিও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রোতাদের নিজের গান তুলে ধরেন।
২০০২ সালে চীনের শাংহাই টেলিভিশনসহ দেশের ১৮টি প্রাদেশিক টেলিভিশন যৌথভাবে 'এশিয়ার নতুন কণ্ঠশিল্পী' প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। ছেন ছু শেং এতে অংশ নেন। বিভিন্ন স্তরের প্রতিযোগিতায় এক হাজারেরও বেশি কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে লড়াইয়ের পর ছেন ছু শেং বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। অবশেষে ছেন ছু শেং এই প্রতিযোগিতার 'এশিয়ার সবচেয়ে আশাবাদী নতুন কণ্ঠশিল্পীর' পুরস্কার জিতে নেন।
২০০২ সালে ছেন ছু শেং চীনের শেনচেন টেলিভিশিনের উদ্যোগে দারিদ্রবিমোচন তথ্যচিত্রে অংশ নেন। তিনি এই তথ্যচিত্রের থিম সং 'পাহাড়ের শিশু' গানটি গেয়েছেন।
২০০৩ সালে চীনের হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরে আয়োজিত দেশের পাব কণ্ঠশিল্পীর প্রতিযোগিতায় ছেন ছু শেং চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর তিনি ইএমআই সংগীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ২০০৫ সালে ছেন ছু শেং ইএমআই-এর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন, তিনি আবার নিজেই 'লানইয়ু' নামে একটি সংগীত ব্যান্ড গঠন করেন। ২০০৬ সালে ছেন ছু শেং 'BIG BOY' নামে সংগীত ব্যান্ড গঠন করেন।
২০০৭ সালে ছেন ছু শেং হুনান টেলিভিশনের আয়োজিত 'সুপার বয়ে' কণ্ঠশিল্পীর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। এর মাধ্যমে তিনি সারা চীনে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ছেন ছু শেংয়ের প্রথম সংগীতানুষ্ঠান বেইজিংয়ে আয়োজিত হয়।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় গায়ক ছেন ছু শেংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবার কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)