কিন্তু ওয়াশিংটনের জন্য বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে হুয়াওয়েইয়ের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ। হুয়াওয়েই দশ বছর আগ থেকে মার্কিন প্রযুক্তির পরিবর্তে 'ব্যাকআপ প্রযুক্তি' নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলো। এতে চীনা জাতির 'শান্তির সময় বিপদের জন্য প্রস্তুতির' ধারণার প্রতিফলন হয়েছে। এতে মার্কিন সরকারের 'শ্বাসরুদ্ধ আক্রমণে' তারা এই 'ব্যাকআপ প্রযুক্তি' দিয়ে সুন্দরভাবে 'পাল্টা আক্রমণ' করতে পেরেছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারনেট যন্ত্রপাতি উত্পাদনকারী কোম্পানি হিসেবে হুয়াওয়েই গত বিশ বছরে তাদের ব্যবসা ১৭০টি দেশে সম্প্রসারণ করছে। হুয়াওয়েই বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ মানুষের জন্য টেলিযোগাযোগ পরিষেবা দিচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কখনও হুয়াওয়েইকে তাদের প্রধান ইন্টারনেট অপারেটরের হিসেবে কাজ করতে দেয়নি।
বর্তমান ৫জি পেটেন্ট ক্ষেত্রে হুয়াওয়েই বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে হুয়াওয়েইকে আটকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে নিরাপদ বা শক্তিশালী করতে পারবে না। বরং, এতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হুয়াওয়েইর সঙ্গে সহযোগিতাকারী মার্কিন কোম্পানিগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার খবর বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোয়ালকোম এবং সিলিনক্সসহ মার্কিন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অনেক কমে গেছে। এর পাশাপাশি ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষনেতারাও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
আনন্দের বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের 'শ্বাসরুদ্ধ আক্রমণের' জবাবে হুয়াওয়েই দশ বছর আগে 'ব্যাকআপ প্রযুক্তি' নিয়ে গবেষণা করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়। ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, 'শান্তির সময় বিপদের জন্য প্রস্তুতি' ধারণা কখনও ভুলে যাওয়া যাবে না। চীনা জাতি নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব বাধা অতিক্রম করে নব্যতাপ্রবর্তনের চেতনা নিয়ে নিশ্চিত সাফল্য অর্জন করবে বলে জানায় সিআরআই সম্পাদকীয়।
(স্বর্ণা/তৌহিদ/মুক্তা)