অন্যদিকে জাতিসংঘের বৃহত্তম চাঁদা-প্রদানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত নিজের চাঁদা ৩৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করেনি। তা ছাড়া, জাতিসংঘের কাছে নিরাপত্তা সুরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া চাঁদার পরিমাণ ৭৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মোট পরিমাণ ২০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অথচ, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্র সময়মতো জাতিসংঘের চাঁদা পরিশোধ করছে না। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই চাঁদা পরিশোধে সক্ষম। চাঁদা পরিশোধ না-করা আসলে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি দেশটির অবজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ।
আমরা খেয়াল করেছি, সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে পর্যায়ক্রমে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, ইউনেস্কো, ও ইরান-পমাণুচুক্তিসহ বিভিন্ন চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে; এবং অন্যদিকে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, মেক্সিকো ও কানাডাসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর না-হক চাপ দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এখন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও বিশ্ব বাণিজ্যিক নিয়ম আর তার ইচ্ছা পূরণ করতে পারছে না। তবে, এই একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব এড়িয়ে চলা এবং শুল্ক বাড়ানোর আচরণ শক্তিশালী পাল্টা জবাব পাবে, এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। (লিলি/আলিম)