বৈঠককালে ওয়াং ই বলেন, গত মাসে দ্বিতীয় 'এক অঞ্চল, এক পথ' শীর্ষ ফোরামে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এ ফোরামের সফল আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। চলতি বছর এটি প্রেসিডেন্ট সি ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রথম সাক্ষাত্। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের দিক নির্ধারিত হয়েছে, সেই সঙ্গে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনে সুষ্ঠু ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।
ওয়াং ই আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়ন হলেও, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বেশ জটিল। একতরফাবাদ ব্যাপক বাড়ছে, যা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও বিধিমালার লঙ্ঘন। চলমান পরিস্থিতিতে চীন ও রাশিয়ার মতো দু'টি দায়িত্বশীল বড় দেশের সহযোগিতা জোরদার করা উচিত, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতাও সংরক্ষণ করতে হবে।
লাভরভ বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন রুশ কূটনীতির সর্বপ্রথম দিক, যা দেশের দীর্ঘকালীন স্বার্থের জন্য সহায়ক। আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীন রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদার। জাতিসংঘ, জি টোয়েন্টি, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থাসহ বহুপক্ষবাদের কাঠামোতে দু'দেশের বিনিময় ও সমন্বয় বেশ ঘনিষ্ঠ। চীনের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে বলে জানান লাভরভ।
(সুবর্ণা/তৌহিদ/রুবি)