যুক্তরাষ্ট্র একদিকে দেশটিতে রপ্তানিকৃত চীনের সব পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, অন্যদিকে সংলাপ অব্যাহত রাখার ইচ্ছাও প্রকাশ করে। কঠোর ও নরম দুই পদ্ধতিতে চীনের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে 'চীন-যুক্তরাষ্ট্র ১১তম আর্থ-বাণিজ্যিক উচ্চ পর্যায়ের সংলাপের' পর চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হ্য গণমাধ্যমে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্টভাবে জানে, আর্থ-বাণিজ্যিক সংলাপে চীন তিনটি বিষয়ে নজর রাখছে। এগুলো হলো, বর্ধিত শুল্ক বাতিল করা, বাণিজ্যিক ক্রয়ের পরিমাণ বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রাখা এবং চুক্তিপত্রের ভারসাম্য বৃদ্ধি করা। এ তিনটি মৌলিক বিষয়ে চীন কখনও মাথা নত করবে না।
যাই হোক, যুক্তরাষ্ট্র সীমাহীন চাপ দিলেও তা অতীতে কার্যকর হয় নি, ভবিষ্যতেও কার্যকর হবে না। আজ (সোমবার) চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক সম্পাদকীয়তে এসব মন্তব্য করা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বৃদ্ধিতে অবিচল থাকলে চীন তার দৃঢ় বিরোধিতা করবে। এক বছর ধরে দু'দেশের বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবিলায় চীন এ কঠিনতা মোকাবিলায় দক্ষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপ কোম্পানির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে এক বছরে দেশটিতে ৯ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ চাকরি হারাবে। চার সদস্যের একটি মার্কিন পরিবারে বার্ষিক ব্যয় ৭৬৭ মার্কিন ডলার বাড়বে। আরও ৩২ হাজার ৫শ মার্কিন ডলার চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র ২১ লাখ মার্কিন নাগরিক চাকরি হারাবে এবং চার সদস্যের পরিবারে বছর প্রতি ব্যয় ২০০০ মার্কিন ডলার বেড়ে যাবে।
(রুবি/তৌহিদ)