|
20190420music
|
বন্ধুরা, শুনছিলেন মাও নিংয়ের কন্ঠে 'ঢেউ'র কন্ঠ আগের মতো' নামের গান। ১৯৮৬ সালে তিনি লিয়াওনিং প্রদেশের ক্রীড়া স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর স্কুলটিতে শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি লিয়াওনিং প্রদেশের কলাভবনে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি বেইজিংয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর গান চীনে খুবই জনপ্রিয়। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'আত্মার বৃষ্টি' নামের গান শোনাবো। গানটিও ১৯৯৩ সালে রিলিজ হয়। তিনি নারী কন্ঠশিল্পী ইয়াং ইউ ইংয়ের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গানটি গেয়েছেন। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন মাও নিং ও ইয়াং ইউ ইংয়ের কন্ঠে 'আত্মার বৃষ্টি' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে মাও নিংয়ের কন্ঠে 'মৃত শরত' নামের গান শোনাবো। 'মৃত শরত' শিরোনামের গানের কথা এরকম: এ মৃত শরতে ম্যাপল লিফ পড়ে আছে। আমি বুঝেছি যে, তুমি শুধু আমার একার নও। হঠাৎ পিছনে তাকিয়ে জোর করে হাসি। আগের বিষয় বাতাসে অদৃশ্য হয়ে গেছে। কেন আমরা পরস্পরকে ভালবাসি! বিচ্ছিন্ন হব। আমরা কিভাবে বিশ্বাস করবো যে, এ একটি স্বপ্ন মাত্র! ভালবাসা চলে গেছে। একসাথে থাকতে পারবো না। আমি মাথা তুলে আকাশ দেখি। আমি চিন্তা করেছি যে, তোমার আমাকে আজীবন ভালবাসার কথা ছিল। আমার মনে কত ভালবাসা ও দুঃখ লুকিয়ে আছে। আমি আবার তোমার হাত ধরতে চাই। আমাদের দেখানো স্বপ্নে। তুমি চলে গেছ, আমার হৃদয় কাঁদে।
আচ্ছা, বন্ধুরা এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন মাও নিংয়ের কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদেরকে কন্ঠশিল্পী হু সিয়া'র কন্ঠে গান শোনাবো। তিনি ১৯৯০ সালের পয়লা মার্চ কুয়াংসি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী নাননিং শহরের সিসিয়াংথাং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কন্ঠশিল্পী ও অভিনেতা। তিনি ২০১০ সালে চীনের তাইওয়ানের ষষ্ঠ সুপার স্টার এভিনিউ সংগীত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর তিনি সোনি মিউজিক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'সে বছরগুলো' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হু সিয়া'র কন্ঠে 'সে বছরগুলো' নামের গান। ২০১০ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামটির কারণে তিনি সিঙ্গাপুরের ১৭তম গোল্ডেন সংগীত প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ নতুন কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালে তিনি 'সে বছরগুলো' নামের সংগীত প্রকাশ করেন। গানটির কারণে তিনি চীনের হংকং, তাইওয়ান ও মূল ভূভাগের বিভিন্ন সংগীত-প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেন। ২০১২ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন। একই বছরে তিনি নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করেন। মার্চ মাসে তিনি নিজের প্রথম কনসার্ট আয়োজন করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'সুখ এখানে আছে' নামের গান শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হু সিয়া'র কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমরা আরেক জন শিল্পীর গান শোনাবো। তিনি হলেন হুয়াং ফিন ইউয়ান। তিনি ১৯৬৮ সালের ১৭ জুন চীনের তাইওয়ানের তাইচং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কন্ঠশিল্পী, অভিনেতা ও টিভি হোস্ট। ১৯৮৭ সালে তিনি তাইওয়ানের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পেয়ে বিনোদনজগতে প্রবেশ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি চীনের হংকংয়ের নারী কন্ঠশিল্পী মোও ওয়েন ওয়েই'র সঙ্গে একটি সংগীত প্রকাশ করেন। ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি হংকংয়ের শ্রেষ্ঠ দশটি চীনা ভাষার সংগীত রৌপ্যপদক লাভ করেন। ২০০৪ সালে তিনি টিভি হোস্ট হিসেবে তাইওয়ানের গোল্ডন বেল'র শ্রেষ্ঠ হোস্ট পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি নিজের বই প্রকাশ করনে। ২০১২ সালে তিনি অভিনেতা হিসেবে তাইওয়ান গোল্ডন বেল অ্যাওয়ার্ডজ'র শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি তাঁর কন্ঠে 'তুমি কিভাবে আমাকে দুঃখ দিতে পারো?' নামের গান শোনাবো। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/সুবর্ণা)