0503
|
প্রিয় শ্রোতা, গত অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশের জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী আব্দুল আলীমের কিছু গান শুনিয়েছি। আজও আমরা তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান শোনাবো।
মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম তার সুললিত কণ্ঠের মাধ্যমে দেশের জন্য অনেক সুনাম বয়ে এনেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশে গান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হয়ে তিনি ১৯৬৩ সালে রাশিয়া এবং ১৯৬৬ সালে চীন সফর করেন। এই দুটি দেশে তিনি পল্লীগান পরিবেশন করে দেশের জন্য প্রচুর সুখ্যাতি অর্জন করেন।
বিদেশে বাংলাদেশের পল্লীগানের মান বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে আবদুল আলীমের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বেতার ও টেলিভিশন ছাড়াও অসংখ্য ছায়াছবিতে গান গেয়েছেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ছবি 'মুখ ও মুখোশ'-এ কণ্ঠ দেন আব্দুল আলীম। এ ছাড়া আজান, রূপবান, জোয়ার এলা, শীত বিকেল, এদেশ তোমার আমার, কাগজের নৌকা, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, সাত ভাই চম্পা, দস্যুরাণী, সুজন সখিসহ অসংখ্য ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি
১৯৬০ সালে গ্রামোফোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁর গান 'প্রেমের মরা জলে ডোবে না' ও 'অসময় বাঁশি বাজায়' তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এরপর একে একে 'হলুদিয়া পাখি, 'দুয়রে আইসাছে পালকি, 'নাইয়ারে, নায়ে বাদাম তুইলা, 'এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া, 'পরের জায়গা পরের জমিন' প্রভৃতি গান অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি দেশের প্রথিতযশা গীতিকার ও সুরকারদের গান গেয়েছেন। তাদের মধ্যে লালনশাহ, হাসন রাজা, জসীমউদ্দিন, আবদুল লতিফ, মমতাজ আলী খান, শমশের আলী, সিরাজুল ইসলাম, কানাইশীল, মন মোহন দত্ত প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় ৫০০ গান রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতারে স্টুডিও রেকর্ডে ও প্রচুর গান আছে।