এসময় বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং, নতুন মডেলের পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ, নতুন মডেলের যুদ্ধজাহাজসহ চীনের নৌবাহিনীর নতুন মডেলের বিভিন্ন রণতরী প্রদর্শন করা হয়। এবারের কুচকাওয়াজে চীনের নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণ নির্মাণের ফলাফল তুলে ধরা হয় এবং চীনের নৌবাহিনীর উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ ও আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়।
এবারের ছিংতাওয়ে নৌসেনাদের কুচকাওয়াজ চীনের সামরিক কূটনৈতিক ইতিহাসের একটি বড় ব্যাপার। রাশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারতসহ মোট ১৩টি দেশের ১৮টি যুদ্ধজাহাজও এতে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর এ যৌথ কুচকাওয়াজে যৌথভাবে শান্তি রক্ষা এবং অভিন্ন উন্নয়নের দৃঢ়তা প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরে চীনের নৌবাহিনী বরাবরই ইতিবাচকভাবে আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করেছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্রের নিরাপত্তা ও সাগরের সুষ্ঠু শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাগরে চিকিত্সা সেবায় চীনের নৌবাহিনী অসাধারণ অবদান রেখেছে।
সি চিন পিং বিদেশি নৌবাহিনীগুলোর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় জোর দিয়ে বলেন, মানবজাতির বাসস্থান এই নীল গ্রহটি, সাগরের মাধ্যমে যুক্ত একটি অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিপদ ও নিরাপত্তা ভাগাভাগি করে। ভবিষ্যতে চীনের নৌবাহিনী অন্যান্য দেশের নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করে সামুদ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এগিয়ে নেবে এবং 'অভিন্ন ভাগ্যের সামুদ্রিক কমিউনিটি' নির্মাণের জন্য অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালাবে।
(আকাশ/তৌহিদ/শুয়েই)