গত ৪ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে চীন-যুক্তরাষ্ট্র আর্থ-বাণিজ্যিক ৯ম দফার উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীন পক্ষের দলনেতা লিউ হ্য'র সঙ্গে বৈঠককালে ট্রাম্প বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল যত দ্রুত সম্ভব সার্বিক ও ঐতিহাসিক একটি চুক্তিতে উপনীত হবে বলে তিনি আশা করেন; যা শুধু দু'দেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বের জন্যও কল্যাণকর।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বিশ্বের প্রভাবশালী বড় দেশ হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে তিনটি বৈশ্বিক দায়িত্ব বহন করবে বলে সারা বিশ্ব প্রত্যাশা করে।
প্রথমত, উন্নয়নের দায়িত্ব। উন্নয়ন আমাদের প্রথম কাজ। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে বৈশ্বিক উন্নয়ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই দায়িত্ব পালন করা উচিত্। তবে গত বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য-যুদ্ধের পর বিশ্বের আর্থিক প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। এ অবস্থায় দু'দেশ পারস্পরিক কল্যাণকর বাণিজ্যিক চুক্তিতে উপনীত হলে অবশ্যই সারা বিশ্বের অবস্থা চাঙ্গা হবে বলে সিআরআই সম্পাদকীয়তে বলা হয়।
দ্বিতীয়ত, শান্তির দায়িত্ব। বর্তমানে মানবজাতি নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে শান্তি বাস্তবায়নে দু'দেশের দায়িত্ব আছে।
তৃতীয়ত, পরিচালনার দায়িত্ব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আবারও একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদ দেখা দিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব পরিচালনা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক ব্যবস্থা রক্ষা করা এবং বিশ্ব পরিচালনা ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত করতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে কাজ করা উচিত্ বলে সিআরআই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়।
(লিলি/তৌহিদ)