প্রভাব-ক্ষমতা যত বেশি, দায়িত্বও তত বেশি। বর্তমান বিশ্বে একদিকে যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে নতুন করে বিপ্লব সাধিত হচ্ছে এবং শিল্পে সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে সংরক্ষণবাদ, একতরফাবাদ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা, নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি হুমকি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বে প্রভাবশালী বড় রাষ্ট্র হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত যৌথভাবে ঝুঁকি এড়ানো, প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগানো।
আজেন্টিনা বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে একমত হন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ নেতা। নতুন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে 'মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা' হবে বলে সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা।
ভিন্ন ব্যবস্থা, সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় অবস্থা ও উন্নয়ন পর্যায়ের ভিন্নতার কারণে দু'দেশের মধ্যে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক। তবে একে অন্যের রফতানিপণ্যের ওপর শুধু শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া এবং একে অপরের জন্য বাণিজ্যিক বাধা সৃষ্টি করা এ সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এতে বরং দু'দেশ ও বিশ্বের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্দে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাণশক্তির অভাবও স্পষ্ট। মার্কিন অর্থনীতিবিদ হাওয়ার্ড শাজও মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বা চীন—যে-কোনো দেশের অর্থনীতির পতন হলে বিশ্বে তার তীব্র নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বর্তমানে নবম দফার চীন-মার্কিন উচ্চপর্যায়ের সংলাপ ওয়াশিংটনে চলছে। দু'পক্ষের উচিত মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা। (সুবর্ণা/আলিম/ওয়াং হাই মান)