তিনি বলেন, 'প্রথম দিকে কারখানায় মাত্র ১০০ জন শ্রমিক ছিল। মাত্র ৫ বছরে আমাদের শ্রমিকে সংখ্যা হয় ৫৫০০ জন। প্রতিমাসে হ্যাট উত্পাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪০ লাখে। আমাদের লক্ষ্য প্রতি মাসে ৫০ লাখ। আগামী জুন মাসে কারখানার দ্বিতীয় ভবন নির্মিত হবে। সে সময় ৮০০০ জন শ্রমিক প্রয়োজন হবে। হ্যাটের ডিজাইন ও বৈচিত্র্যও বাড়ানো হবে।
(কারখানায় শ্রমিকদের হোস্টেল)
(নতুন নির্মিত কারখানা)
গত ৫ বছরে চীনের প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের চিন্তাধারার সম্পর্কে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সচেতনতা বাড়ানো, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চালিকাশক্তি জোরদার করা—ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ইয়ান পাও লিং অনেক চিন্তা করেছেন। তিনি বলেন, গত ৫ বছর ধরে তিনি সব সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের কথা স্মরণ রেখেছেন। সি চিন পিং বলেছেন, বিদেশের মাটি, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে মেলামেশা করতে চাইলে মনের সংযুক্তি প্রয়োজন। চীনের প্রতিষ্ঠান স্থানীয় বাজারে উন্নতি করতে চাইলে স্থানীয় মানুষের জীবন-যাত্রার মান উন্নত করতে হয় এবং তাদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ করতে হয়। তিনি বলেন, 'কীভাবে মনকে সংযুক্ত করা যায়? আমাদের পূর্বপুরুষরা বলেছেন, দয়াশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের ময় জয় করা। তাই বেশি বেশি এমন কাজ করতে হয়। আমাদের কারখানায় ৩০ জনেরও বেশি প্রশাসনিক কর্মী রয়েছে। তাদেরকে প্রতিবছরে কমপক্ষে দুবারে স্থানীয় শ্রমিকের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেই আমি। এ ছাড়া কারখানার এলাকায় আমরা বাজার ও অনাথাশ্রম নির্মাণ করেছি। আগামী এপ্রিলের শেষ দিকে মাধ্যমিক স্কুল নির্মাণ শুরু করবো। সাংস্কৃতিক মিশ্রণ করার জন্য আমরা বাংলাদেশের নানা উত্সবে স্থানীয় মানুষের মতো জাতীয় পোশাক পরি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।