ওয়াং ই বলেন, অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চীন ও ইইউ'র মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ও সহযোগিতা চালু হয়েছে, বিশ্বের দুটি প্রভাবশালী প্রতিনিধি হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছে দু'পক্ষ। দু'পক্ষের সহযোগিতায় ব্যাপক সুপ্তশক্তি রয়েছে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে দ্বিপাক্ষিক সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্কের উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালানো উচিত।
ওয়াং ই দু'পক্ষের সম্পর্কের তিনটি দিক নিয়ে বলেন, সহযোগিতার অংশীদার হলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল বিষয়। যদিও কিছু কিছু ব্যাপারে দু'পক্ষের মতভেদ রয়েছে, তবে যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্য একই। পারস্পরিক উপকারিতা ও অভিন্ন স্বার্থ অর্জন হলো দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যমাত্রা। চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ ও ইউরেশিয়ার কার্যকর সংযোগ নিয়ে আশা প্রকাশ করেন ওয়াং ই। পারস্পরিক কেন্দ্রীয় স্বার্থকে সম্মান করা হলো দু'পক্ষের আস্থার প্রতীক। চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থের সাথে জড়িত ইস্যুতে ইইউ সঠিক অবস্থান পোষণ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি, যাতে বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখা যায়।
মোঘারিনি বলেন, গত ৫ বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন অতুলনীয় মানে দাঁড়িয়েছে। আজ ইইউ'র ২৮ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইইউ 'একচীন নীতি' অনুসরণ এবং চীনের সাথে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের সহযোগিতা এবং বিভিন্ন খাতের বিনিময় জোরদার করবে বলে আশা করেন তিনি। (সুবর্ণা/টুটুল/মুক্তা)