চীনে পর্তুগিজ রাষ্ট্রদূত হোসে অগাস্টো ডুয়ার্ট বলেন, ১৯৭৯ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে পর্তুগাল ও চীন প্রায়শই উচ্চ-স্তরের বিনিময় করেছে। উভয় পক্ষই গঠনমূলক সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রতি মনোযোগ দিয়েছে এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে গর্বিত ফলাফল অর্জন করেছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে, পর্তুগাল বেইজিং, শাংহাই, ম্যাকাও ও কুয়াং চৌতে ২০টি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সংগীত, নাচ, নাটক, চলচ্চিত্র, সাহিত্য এবং ভিজ্যুয়াল আর্টের (visual art) ক্ষেত্রে পর্তুগিজ শিল্পীরা চীনা শিল্পীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সংলাপে অংশ নেবেন। প্রাসাদ জাদুঘরের পরিচালক শান জি সিয়াং বলেন, জাতীয় প্রাসাদ মিউজিয়াম প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীকে স্বাগত জানায়। গত বছর, প্যালেস মিউজিয়ামের "পূর্ব ও পশ্চিম-ফরবিডেন সিটি ও সামুদ্রিক রেশমপথ প্রদর্শনী"ও পর্তুগালের আজুদা ন্যাশনাল প্যালেসে প্রদর্শিত হয়েছিল। ম্যাকাও-তে বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আবেদন, জাদুঘর পেশাদার প্রশিক্ষণ এবং বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতা রক্ষা ফোরামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে চীন ও পর্তুগাল। প্রাসাদ যাদুঘর একটি পর্তুগিজ সাংস্কৃতিক অবশিষ্টাংশ প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য উন্মুখ, এবং পর্তুগালের অনেক বন্ধুকে স্বাগত জানায়। পরে বিখ্যাত পর্তুগিজ গিটার প্লেয়ার পদ্দো জোয়া এবং চীনা তরুণ ইহারো প্লেয়ার ডুয়ান ছাও পৃথক সোলো ট্র্যাক পার্ফম করেন। শেষ পর্যন্ত, গিটার-আরহু যৌথভাবে "মি অ্যান্ড ইউ", "জেসমিন" এবং পর্তুগিজ লোকগান "লিসবন মিনোর ফাদো, এ মাইনর" নিয়ে পার্ফম করেন দুই শিল্পী।
বর্তমানে চীনের চারটি স্থানে অনুষ্ঠিত ২০টি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিস্তারিত আলোচনা এখনও চলছে। পর্তুগিজ ফাডো(Fado) গায়ক কারমিনো, জাতীয় সাও কার্লোসের থিয়েটারের গায়ক দল ও অর্কেস্ট্রা, পর্তুগিজ ন্যাশনাল ব্যালে, পরিচালক ফিলিপ কারভালহো, এবং লেখক এটোনিও লোবো অ্যানুনিস চীনা দর্শকদের সঙ্গে দেখা করবেন।