চীনা অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীরগতির উন্নয়নের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। চীন দেশের অর্থনীতি উন্নয়নকে একটি যৌক্তিক উন্নয়ন মাত্রার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে। তা আন্তর্জাতিক বাজারে দেওয়া একটি স্থিতিশীল ইঙ্গিতও বটে।
চীনের শুল্ক কমানোর ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুল্ক কমানো সরকারের জন্য একটু কঠিন হলেও এতে জনসাধারণ উপকৃত হতে পারে। সরকারি ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আরো বেশি খরচ জনগণের জীবনমান উন্নয়নের দিকে ব্যয় করতে চাই।
সংস্কার নিয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ অব্যাহতভাবে সামনে আগাবে। গৃহীত 'বিদেশি বিনিয়োগ আইন' থেকে তা বোঝা যায়। চীন সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রবেশের আগে নাগরিক সমান অধিকার যোগ নেগেটিভ লিস্ট ব্যবস্থা চালু করবে। সামনে নেগেটিভ লিস্ট প্রকাশ করবে চীন সরকার। এ নেগেটিভ লিস্ট ক্রমশ কমে যাবে, অর্থাত্ উন্মুক্তকরণের আকার আরো বড় হয়ে যাবে। চীন আইনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অধিকার রক্ষা করবে এবং তাদের আকর্ষণ করবে। এ আইন অনুযায়ী চীন সরকার ধারাবাহিক নিয়মকানুন প্রকাশ করবে। যাতে আইনটি সুষ্ঠুভাবে চালু করা যায়।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সংঘর্ষ নিয়ে তিনি বলেন, দু'দেশের মধ্যে আলোচনা থামেনি। আমরা দু'পক্ষই একটি ফলাফলের প্রত্যাশা করছি। আমি বিশ্বাস করি, দু'দেশের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে সুষ্ঠুভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার মেধা রয়েছে।
(স্বর্ণা/টুটুল/মুক্তা)