এদিন ত্রয়োদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহাপরিচালক লিউ ইয়ুং ফু বলেন, চীনের দারিদ্র্যবিমোচন নীতি চালুর বিগত ৬ বছরে এতে অর্জিত সাফল্য উল্লেখযোগ্য। দরিদ্র লোকসংখ্যা ২০১২ সালের ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার থেকে ২০১৮ সালে নেমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখে। পর পর ষষ্ঠ বছরের মতো গড়ে প্রতিবছর ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
'কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীনের দারিদ্র্যমুক্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে। এতে দরিদ্র জেলা এবং আঞ্চলিক সামষ্টিক দরিদ্রতা সবই নির্মূল করা হবে। বর্তমানে ৮৫ শতাংশ দারিদ্র্যমুক্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। এ বছর আরও ১ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হবেন বলে আশা করা যায়'।
২০২০ সালে গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র্যমুক্তকরণ বাস্তবায়নের লক্ষ্য কীভাবে সফল হবে তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গভীর দরিদ্র অঞ্চলের দারিদ্র্যমুক্তকে এগিয়ে নেয়া। গভীর দরিদ্র অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল , ইয়ুন নান, সি ছুয়ান, ছিংহাই, কান সু এই চারটি প্রদেশের তিব্বতি অঞ্চল, সিন চিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দক্ষিণ দিকের ৪টি রাজ্য এবং সি ছুয়ান প্রদেশের লিয়াং শান জেলা, ইয়ুন নান প্রদেশের নু চিয়াং জেলা ও কান সু প্রদেশের লিন সিয়া জেলা প্রভৃতি। এ সম্পর্কে মহাপরিচালক লিউ ইয়ুং ফু বলেন
'গভীর দরিদ্র অঞ্চলের দারিদ্র্যমুক্তকরণ কাজের ওপর গত বছরের শেষ দিক পর্যন্ত, এখানকার দরিদ্র লোকসংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি এমন জেলার সংখ্যা ১১১টি। আমাদের উচিত এসব অঞ্চলের ওপর আরও সচেতন হওয়া এবং সহায়তা অর্থের পরিমাণ আরও বাড়ানো'।
সেই সঙ্গে, দারিদ্র্যবিমোচনে অর্থ সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনা সরকার । চীনের উপ অর্থমন্ত্রী ছেং লি হুয়া বলেন, এ বছর দারিদ্র্যবিমোচনে ১২৬.১ বিলিয়ন ইউয়ান অর্থ সহায়তা দেবে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৯ শতাংশ বেশি। এই অর্থ প্রধানত গভীর দরিদ্র অঞ্চলের দারিদ্র্যমুক্তকরণ কাজে ব্যবহৃত হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
'অর্থ সহায়তা ছাড়া, আরও সংশ্লিষ্ট বিতরণের সুবিধাজনক ঋণও গভীর দরিদ্র অঞ্চলে পাঠানো হবে। এটি দারিদ্র্যমুক্তকরণ কাজের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়'।
জানা গেছে, এ বছর দারিদ্র্যমুক্তকরণ কাজে অর্থের সুবিন্যস্ত ব্যবস্থাও তুলে ধরবে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে দরিদ্র অঞ্চলের শিক্ষা, মৌলিক চিকিত্সা, বাসস্থানের নিরাপত্তা ও পানীয় নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় সুনিশ্চিত হবে। ছেং লি হুয়া আরও বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন রকমের দারিদ্র্যমুক্তকরণ সংক্রান্ত অর্থ সহায়তা সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগানোর জন্য সাইবার তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা দ্রুতভাবে গড়ে তুলবে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়।
(ওয়াং হাইমান/টুটুল)