0303
|
আকাশ: বন্ধুরা, আজ আমরা অব্যাহতভাবে আসিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কেমন?
ভাই, তুমি জানো আসিন এখন কি করছেন?
টুটুল: কি ভাই?
আকাশ: তিনি এখন চীনের তাইওয়ানের তাইপেই জিমনেস্টিক্স দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। আসিনের আসল নাম হচ্ছে লিন ইউ শিন। তার জীবনের ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তার ছোট ভাই এ ''চলচ্চিত্র"জাম্প, আসিন "নির্মাণ করেন।
টুটুল:…
আকাশ: হ্যাঁ। বন্ধুরা, এখন আমরা আসিন সম্পর্কে একটি খবর শুনবো, কেমন?
টুটুল: ২০১৮ সালের ২৩ অগাস্ট, জাকার্তা এশিয়ান গেমসে পুরুষের 'পমেল হর্স' ফাইনালে চীনের তাইওয়ানের তাইপেই'র খেলোয়াড় লি চি খাই ১৫.৪ স্কোর নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। এটা হচ্ছে এশিয়ান গেমসের জিমনেস্টিক্সের ইতিহাসে তাইপেই'র প্রথম স্বর্ণ পদক। এই পদক অর্জনের খবর শোনার পর লি চি খাই তার কোচ লিন ইউ শিনকে জড়িয়ে ধরেন।
অনেকে হয়তো জানেন না যে, তাদের জীবনের সত্য ঘটনাগুলোকে ভিত্তি করে 'জাম্প' ধারাবাহিক চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়। যেমন-'জাম্প, বয়', 'জাম্প, আসিন' ও 'জাম্প, ম্যান'। এদের মধ্যে 'জাম্প, বয়' ও 'জাম্প, ম্যান' হচ্ছে তথ্যচিত্র। 'জাম্প, আসিন' তুলনামূলকভাবে আরো ব্যাপক পরিচিত।
'জাম্প, আসিন' চলচ্চিত্রে আসিনের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, আসিন কিভাবে জীবনের সমস্যা সমাধান করে জিমনেস্টিক্সে ফিরে যান এবং চ্যাম্পিয়ন হন।
'জাম্প, বয়' তথ্যচিত্রে দেখানো হয়, লিন ইউ শিন কিভাবে ছোট বাচ্চাদের বাছাই করেন এবং তাদেরকে জিমনেস্টিক্স প্রশিক্ষণ দেয়া এবং তাদের অগ্রগতির প্রক্রিয়া। এসব প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে একজন হলেন লি চি খাই। যিনি ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক লাভ করেন।
অনেক বছর ধরে কোচ লিন ইউ শিন 'অলিম্পিক দল'র প্রস্তুতি নিতে থাকেন। অনেক পরিশ্রমের পর অবশেষে তারা সফলতা পান। এবারের এশিয়ান গেমসে দলের খেলোয়াড় লি চাই খাই স্বর্ণ পদক লাভ করেন এবং থাং চিয়া হোং অনেক ভালো ফলাফল অর্জন করেন।
'জাম্প, ম্যান' তথ্যচিত্রটিতে তাদের অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়া সম্পর্কিত বিষয় তুলে ধরা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে এ তথ্যচিত্রটি প্রকাশ পায়।
লিন ইউ শিন বলেন, রিও অলিম্পিক গেমসের আগে, আমাদের মান ভালো ছিলো না। আমাদের খেলোয়াড়দের এশিয়ান গেমসের মতো বড় আকারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা খুব কম। আমি আশা করি তারা বেশি বেশি এ ধরনের সুযোগ পাবে।
তিনি এমন কথা বললেও তার দলের খেলোয়াড় ফাইনালে অনেক ভালো ফলাফল অর্জন করেন। থাং চিয়া হোং পুরুষদের 'ফ্লোর এক্সারসাইজ' এ রৌপ্য পদক লাভ করেন।
স্বর্ণ পদক জয়ী লি চি খাই বলেন, আমি স্বর্ণ পদক পেয়ে খুব খুশি। আমরা একসাথে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। তারা অনেক বছরের 'জাম্প, বয়' থেকে এখন এশিয়ান গেমসের চ্যাম্পিয়নে পরিণত হয়েছেন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লি চি খাই অনেক কষ্ট করে পরিশ্রমের মাধ্যমে অবশেষে স্বর্ণ পদক লাভ করেন। আমরা তার জন্য গর্বিত। আসিনের ছোট ভাই ও চলচ্চিত্র পরিচালক লিন ইউ শিয়ান বলেন, যদি ব্যর্থ হই, কোনো সমস্যা নেই, আবার চেষ্টা করবো। 'জাম্প, ম্যান' তথ্যচিত্রের মাধ্যমে যে বিষয়টি দর্শকের জানাতে চাই তাহলো, 'যখন আমরা ব্যর্থ হই, তখন আমাদের অনেক সাহস দরকার ব্যর্থতা মোকাবিলার জন্য ।
এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক জয়ের পর কোচ আসিন অর্থাত্ লিন ইউ শিন জানান, তারা ইতোমধ্যে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। "আমরা আরো কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার চেষ্টা করবো, যাতে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক গেমসে পদক অর্জন করতে পারি।"
আকাশ: ভাই, আসিনের খবর শোনার পর কেমন লেগেছে?
টুটুল:...
আকাশ: বন্ধুরা, এখন আমরা কোচ আসিন, অর্থাত লিন ইউ শিনের একটি সাক্ষাত্কার শুনবো, কেমন? আর এর মধ্য দিয়ে আমরা আরেকবার তার সাথে জাম্প করবো, কেমন?
প্রশ্ন: আমি বিশ্বাস করি আপনি ইতোমধ্যে 'জাম্প, আসিন' চলচ্চিত্রটি দেখেছেন। এ চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার অনুভূতি যদি আমাদেরকে বলেন।
আসিন: আমি অনেক খুশি। কারণ অভিনেতা আসিন অনেক সুদর্শন। এ চলচ্চিত্র দেখার সময় আমি দু'বার কাঁদতে শুরু করি। একবার চলচ্চিত্রে ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া দেখে আমি কেঁদেছি, আরেকবার হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পমেল হর্স ফাইনাল প্রতিযোগিতার শুরুর আগের ওই মুহূর্ত, আমি ২০ বছর পরিশ্রম করে অবশেষে এখানে এসেছি। এটা দেখে আমি কাঁদতে শুরু করি।
প্রশ্ন: আসিনের শারীরিক সমস্যা ছিল, তার দুটি পা ছোট-বড়, অর্থাত্ সমান নয়, এটা কি জিমনেস্টিক্সের জন্য বড় সমস্যা?
আসিন: হ্যাঁ। ল্যান্ডিংয়ের সময় আমার অনেক সমস্যা হয়, দু'টি পায়ে তিন সেন্টিমিটারের পার্থক্য থাকার কারণে ল্যান্ডিংয়ের সময় ভারসাম্য রাখা আমার জন্য অনেক কঠিন।
প্রশ্ন: আপনি কিভাবে জিমনেস্টিক্স শুরু করেন?
আসিন: ছোটবেলায়, আমার দাদা মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে তাইওয়ানের অপেরা উপভোগ করতেন। এতে অনেক ডিগবাজি আছে, মানে তারা বাতাসে নিজেকে উল্টিয়ে ফেলতে পারে। আমি ডিগবাজি অনেক পছন্দ করি।
প্রশ্ন: আপনার জন্মস্থান কোথায়?
আসিন: ই লান জেলায়। আমার পরিবার ফল বিক্রির ব্যবসা করেন। ঐতিহ্যগতভাবে পরিবারের বড় ছেলে এ ফল বিক্রির ব্যবসা করেন। আমি পরিবারের সবচেয়ে বড় ছেলে। অনেকে মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে আর স্কুলে যায় না, ফল বিক্রির ব্যবসা শুরু করে। আমার মা আমাকে বলেন, "আমি মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে ফল বিক্রি করা শুরু করেছি। তুমিও আর লেখাপড়া করবে না, জিমনেস্টিক্স করবে না, এর কোনো ভবিষ্যত নেই। "এজন্য আমি ১৫ বছর বয়স থেকে মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে ফল বিক্রি করা শুরু করেছি।
প্রশ্ন: ফলের দোকানের মালিক হয়ে গেছেন তখন, তাইনা?
আসিন: আসলে এত সহজ না, আমি ফল বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে অনেক খারাপ জিনিস শিখে ফেলি। কিছু মাফিয়ার সাথে আমার বন্ধুত্ব তৈরি হয়। কারণ বাজারে সব ধরনের মানুষ থাকে।
প্রশ্ন: এরকম জীবন কত বছর স্থায়ী হয়?
আসিন: দু'বছর। দু'বছর পর একটা বড় ঘটনা ঘটে। আমরা একজন মাফিয়া নেতার ছেলেকে আহত করি। প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে আমরা জন্মস্থান ত্যাগ করে তাইপেই শহরে যাই। তাইপেই শহরের জীবন আমাকে অনেক কষ্ট দেয়।তখন আমি বুঝতে পারি, আমি এরকম জীবন চাই না, আমি মারামারি এরকম জীবন চাইনা, আমি জিমনেস্টিক্সে ফিরে যেতে চাই। এজন্য ওই মাফিয়া নেতার ছেলের ওই সমস্যা সমাধান করার পর আমি স্কুলে ফিরে যাই। আমার বন্ধু আগের মতোই মাফিয়ার জীবনে যুক্ত থাকেন। স্কুলের সব শিক্ষক, কোচ আমাকে সাহায্য করেন। জন্মস্থান ই লানের স্কুলে দুই বছর প্রশিক্ষণের পর, আমি চ্যাম্পিয়ন হই। এ কারণে আমি স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। এভাবে আমার জীবনে পরিবর্তন ঘটতে থাকে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি লাভের পর তখন কেন জন্মস্থান ই লানে ফিরে যেতে চান?
আসিন: আমার মনে হয়, আমার জীবন অনেক আঁকাবাঁকা। জিমনেস্টিক্স আমাকে বাঁচিয়েছে। এজন্য আমি আমার জন্মস্থান ই লানে ফিরে যাই। সেখানে আমার মতো ছোট বাচ্চাদেরকে জিমনেস্টিক্সে সাহায্য করতে চাই।
প্রশ্ন: এটা হচ্ছে আসিনের জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট। ২০০৫ সালে আসিনের ছোট ভাই, তিনি একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, তার নাম লিন ইউ শিয়ান, তিনি আসিনের ছোট বাচ্চাদের জিমনেস্টিক্স প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়ে 'জাম্প, বয়' তথ্যচিত্র তৈরি করেন। তারপর তিনি আবার এ চলচ্চিত্র 'জাম্প, আসিন' তৈরি করেন। এ চলচিত্র আসিনের জীবনের ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয়।
এরপর প্রশ্নকারী টেলিফোনে আসিনের ছোট ভাইকে প্রশ্ন করেন।
প্রশ্ন: আপনি 'জাম্প!আসিন' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কি বলতে চান?
আসিনের ছোট ভাই: আমি আসলে এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলতে চাই যে, যদি কখনো ছেড়ে না দেওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই সবার কাছে জীবন পরিবর্তনের সুযোগ আসবে। আমি মনে করি এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সবাই এ ধারণা পেয়েছেন এবং চলচ্চিত্র দেখে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
প্রশ্ন: এ চলচ্চিত্রের মধ্যে কোন সংলাপ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করতে চান?
আসিনের ছোট ভাই: যদিও এটা শেষ সুযোগ, তারপরও সর্বোচ্চ চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন: ধন্যবাদ ডিরেক্টর।
এরপর প্রশ্নকারী আবার আসিনকে প্রশ্ন করেন।
প্রশ্ন: আসিন, 'জাম্প, বয়' এবং 'জাম্প, আসিন' এ দুটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আপনি এবং ই লানের ওইসব বাচ্চা জিমনেস্টিক্স খেলোয়াড়দের কঠোর চেষ্টা ও বড় হওয়ার প্রক্রিয়া দেখা যায়। আপনি ই লানে ফিরে যাওয়ার পর এ দশ বছরে আপনি হয়তো অনেক কষ্ট পেয়েছেন, তাইনা?
আসিন: প্রথমত, আমি আমার জন্মস্থানের জন্য কিছু করতে চাই এবং জন্মস্থানে কিছু অবদান রাখতে চাই। তাছাড়া, এটা আমার জন্যও একটি সুযোগ। আমার গ্রামের ছেলেরা তখন জিমনেস্টিক্স সম্পর্কে কিছু জানেনা এবং পারেনা। শুরু থেকে ধীরে ধীরে তাদের বাছাই করি। তারপর তাদের প্রশিক্ষণ দেই। আমাদের ১০ বছরের কঠোর প্রচেষ্টায় ই লানের তরুণ জিমনেস্টিক্সদল তাইওয়ানের বিভিন্ন মানের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। আমার পরিকল্পনা হলো, আমি চেষ্টা করবো আগামী ১০ বছরে তারা বাইরের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। তখন তারা আরো শিখতে পারবে এবং উন্নতি করতে পারবে। আমি এ ক্ষেত্রে আরো অবদান রাখতে চাই।
প্রশ্ন: গত ২০ বছরে কোন বিষয়টি আপনাকে এ কাজ করতে সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছে?
আসিন: কারণ আমি বিশ্বাস করি, জিমনেস্টিক্স মানুষকে রক্ষা করতে পারে। জিমনেস্টিক্স আমাকে রক্ষা করেছে। তাই আমি নিজেকে জিমনেস্টিক্সে উত্সর্গ করতে চাই এবং এটাকে কিছু দিতে চাই। এটা হচ্ছে আমার লক্ষ্য। এমনকি জীবনে একটিমাত্র সুযোগ থাকলেও আমি জিমনেস্টিক্সে থাকবো এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সুষ্ঠুভাবে তরুণ জিমনেস্টিক্স খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিতে, গাইড দিতে, যাতে তারা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠন করতে পারে।
আকাশ: বন্ধুরা, আমরা দুটি অনুষ্ঠানে আসিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি এ গল্প আপনাদের ভালো লেগেছে। তার গল্প আমাদের জীবনে শক্তি, উত্সাহ বয়ে আনতে পারবে বলেও আশা করি। অনুষ্ঠান শেষে, আসিনের চলচ্চিত্রের দু'টি সংলাপ উপহার হিসেবে আপনাদের দিতে চাই, কেমন? তা হচ্ছে:
"যদি জীবনে একটিমাত্র সুযোগ থাকে আমি জাম্পের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং যদি চোখে পানি আসে, আমি হ্যান্ডস্যান্ড করবো, তাহলে আর অশ্রু ঝরবে না"।
বন্ধুরা, অনুষ্ঠান শেষে আমরা 'জাম্প, আসিন' চলচ্চিত্রটির একটি গান শুনবো, কেমন? গানের নাম হচ্ছে 'জাম্প'।
টুটুল: হ্যান্ডস্ট্যান্ড করে বিশ্বকে দেখি, যাতে চোখের পানি না ঝরে
পৃথিবী আকাশ হয়ে যায়,
পৃথিবী উল্টো হয়ে যায়,
কিন্তু আসলে বিশ্ব পরিবর্তন হয়নি।
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি
দিগন্ত বরাবর
সব প্রচেষ্টায় সামনে এগিয়ে যাও
এই পৃথিবীতে কোন জিনিস থাকতে পারে?
প্রচেষ্টার ঘামের পানি এবং পরিশ্রম
এখন কি এটার কোনো পরিবর্তন আছে?
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি,
দিগন্ত বরাবর
সব প্রচেষ্টায় অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে যাও
জাম্প
সুন্দর ঘূর্ণায়মান বিশ্ব
জোর দিয়ে জাম্প
যাই ঘটুক না কেন
জাম্প
উষ্ণ রক্ত ব্যবহার করে নীল আকাশে উড়তে
জাম্প
তারপর আমরা পৃথিবীকে আকাশে পরিবর্তন করতে পারবো।