১৪ই ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াংগুন প্রদেশের লিঝি শহরে অবস্থিত YGW অরফান স্কুল খুব প্রাণবন্ত ছিল। এদিন বিকেলে, এই অনাথ স্কুলের শিশুরা প্রথমবারের মত সিম্ফনি শুনতে পায়। ইয়াংগুন চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, হুই যুব ফিলহার্মনিনিক অর্কেস্ট্রা, মিয়ানমার মার্শাল আর্টস ফেডারেশন, মিয়ানমার-চীন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন অ্যাসোসিয়েশন এবং এশিয়া-প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিংস গ্রুপ যৌথভাবে শিশুদের সামনে "হ্যাপি চীনা নিউ ইয়ার" কনসার্ট পরিবেশন করে। শিশুরা শো দেখে খুব মজা পেয়েছে।
প্রতিবেদক: "আজকের পার্ফমেন্স কেমন? তোমরা কোন প্রোগ্রামটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করলে?"
শিক্ষার্থীরা: "আজ আমি খুব খুশি।" "অনুষ্ঠান খুব উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।" "পিয়ানো শ্রেষ্ঠ।" "আমি কুংফু পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।"
৩১ বছর বয়সী পিয়ানোবাদক ওয়াং ইয়াং মিয়ানমারে প্রায়ই পার্ফম করতে আসেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চীন-মিয়ানমার নতুন বছরের মৈত্রী কনসার্টে তিনি মিয়ানমারের পিয়ানোবাদক অ্যান্ড্রু কনক'র সঙ্গে বিখ্যাত মিয়ানমার সঙ্গীত "ল্যাট টি" পার্ফম করেন। দর্শকরা সেটা অনেক পছন্দ করে। দুই মাস পরে, তিনি তরুণ সঙ্গীতশিল্পীদের সাথে হুই যুথ ফিলহর্মোনিক অর্কেস্ট্রার প্রধান হিসাবে YGW অরফ্যান স্কুল কনফারেন্স হলে প্রবেশ করেন। তিনি বলেন যে, এই পার্ফমেন্স বিশেষ অর্থপূর্ণ।
"আমি বহুবার মিয়ানমার এসেছি। মিয়ানমারে পারর্ফম করার জন্য এই প্রথম আমি একটি তরুণ অর্কেস্ট্রা দল নিয়ে এসেছি। সফরের শুরুতে অরফ্যান স্কুলে আসা খুবই অর্থপূর্ণ। "
হুই যুব ফিলহর্মোনিক অর্কেস্ট্রার জেনারেল ডিরেক্টর জু ইয়েনলিয়াংও বিশ্বাস করেন যে, একটি শো তরুণ সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার, দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নেও এটা ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন,
"অনাথ স্কুলে পারর্ফম করা আমাদের দলের জন্য তাত্পর্যপূর্ণ। আমাদের বাচ্চারা ভালো পরিবেশে বাস করে। তারা জানে না মিয়ানমারের অনাথ স্কুলের শিশুরা কতটা কঠিন জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রচারের জন্য এই পারর্ফমেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, দেশটির অগ্রযাত্রায় আমাদের অবদান থাকবে। 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়নেও আমাদের অবদান থাকবে।"
অরফ্যান স্কুলের শিশুরা মাটিতে বসে সিম্ফনি উপভোগ করে এবং তালি বাজায়। যখন তারা বার্মিজ সংগীত শোনে, তখনও তারা উঠে দাঁড়ায় এবং করতালি দেয়।
স্কুলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি আশিন তেজীজা বলেন
"এখন পরীক্ষার সময়, শিশুরা অনেক চাপে রয়েছে। আজ চীনের হুই যুব অর্কেস্ট্রা তাদের মানসিক চাপ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তোমাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।"
ওয়াং ইয়াং বিশ্বাস করেন যে সঙ্গীত দুই দেশের তরুণদের হৃদয়কে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে। তিনি বলেন,
"আমি মনে করি সঙ্গীতের কোনো সীমান্ত নেই। ভাষা ভিন্ন, সংস্কৃতি ভিন্ন, কিন্তু সংগীত এই ভিন্নতার মধ্যে সেতুর কাজ করে। আমি আশা করি, চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের 'হ্যাপি স্প্রিং ফেস্টিভাল' প্রজেক্টের মাধ্যমে মিয়ানমারের শিশুরা চীনা নববর্ষের সংস্কৃতি ও পরিবেশ অনুভব করতে পারবে।"