চীনের বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল (বৃহস্পতিবার) 'বেসামরিক প্রশাসনবিষয়ক সংস্কারকাজের অবস্থা, ২০১৮' রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, সংস্কারকাজে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে; প্রবীণসেবার মান উন্নত হয়েছে; সরকারি ভাতা ভোগকারী সাড়ে ৪ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে; ইত্যাদি।
চীনের বেসামরিক প্রশাসনমন্ত্রী হুয়াং সু সিয়েন এদিন রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্যকার্যালয় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ২০১৮ সালে দারিদ্র্যবিমোচন কর্মকাণ্ড ভালোভাবে চলেছে। এখন দারিদ্র্যবিমোচনবিষয়ক তিন বছরের কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের সব জেলার গ্রামাঞ্চলের সরকারি ভাতাভোগী জীবিত মানুষের ভাতা বেড়েছে। এতে তারা দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠেছেন। এক্ষেত্রে শহুরে এবং গ্রামীণ ভাতাভোগীতের ভাতা যথাক্রমে ৭.২ ও ১২.৪ শতাংশ বেড়েছে।
হুয়াং সু সিয়েন আরও বলেন, ২০১৮ সালে চরম দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রম জোরদার করে চীনের বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয়। অনুকূল নীতি গ্রহণ, পুঁজি বিনিয়োগ, ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম চালানো হয়। এর জন্য ২২টি প্রদেশকে ২২৫ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ দেয় বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয়।
দারিদ্র্যবিমোচন ছাড়া, ২০১৮ সালে চীনের বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রধান কাজ ছিল প্রবীণসেবার মান উন্নত করা। বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী কাও সিয়াও বিন বলেন, গত দু'বছরে বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে নার্সিং হোম সার্ভিসের মান উন্নত করার বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। এতে নার্সিং হোমসগুলোতে সেবার মান অনেক বেড়েছে। সারা দেশের ২২টি প্রদেশে প্রবীণসেবার মান পরিমাপ করতে সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, ২০১৮ সালে পেনশনপ্রাপ্ত প্রবীণের সংখ্যা ১.২৭ লাখ বেড়েছে। এদের অধিকাংশই শারীরিকভাবে পুরোপুরি বা আংশিক অক্ষম।
জানা গেছে, আগামী দু'বছরে চীনের বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয় গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে দারিদ্র্যমুক্ত এলাকায় অবস্থিত নার্সিং হোমগুলির উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে হোমগুলোর গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যতামূলক জাতীয় মান প্রণয়ন করবে।
কাও সিয়াও বিন বলেন, তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কাজ ভালভাবে করবে চীনের বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, 'এখন আমাদের কাজ কেবল বয়ষ্ক সেবাকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া নয়, বরং তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা করাও আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে আমাদের কর্মকাণ্ড উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ। এর পাশাপাশি আমাদের সেবাও উন্নত হবে, যাতে একটি ভাল প্রবীণ সেবাকেন্দ্র চালানোর জন্য সব ধরনের সংস্থাকে পরিষেবা সরবরাহ করা যায়।' (জিনিয়া/আলিম)