তিনি বলেন, সর্বশেষ প্রকাশিত 'কৃষি ও গ্রামের উন্নয়নের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া সংক্রান্ত সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটির রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রস্তাব' অনুযায়ী, চীন ভূমিব্যবস্থার সংস্কারকে কাজে লাগিয়ে গ্রামাঞ্চলে নতুন দফা সংস্কার-কার্যক্রম চালাবে এবং গ্রামীণ উন্নয়নের প্রাণশক্তি যোগাবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্যকার্যালয়ের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী হান ছাং ফু বলেন,
"২০১৮ সালে উত্পাদিত খাদ্যশস্যের মোট পরিমাণ ছিল ৬৫.৮ কোটি টন। এ নিয়ে চীন একটানা ৭ বছর ধরে বার্ষিক ৬০ কোটি টনেরও বেশি খাদ্যশস্য উত্পাদন করল। মাংশ, ডিম, দুধ, ফল, সবজি ও মাছসহ প্রধান কৃষিজাত দ্রব্যের সরবরাহ ছিল যথেষ্ট। এ ছাড়া, এসময় কৃষকদের আয় দ্রুত বেড়েছে এবং গ্রামের নাগরিকদের মাথাপিছু বার্ষিক নিট আয় ছিল ১৪,৬১৭ ইউয়ান রেনমিনপি। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে নতুন প্রবণতাও দেখা গেছে।"
সম্প্রতি প্রকাশিত 'কৃষি ও গ্রামের উন্নয়নের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া সংক্রান্ত সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটির রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রস্তাব'-এ স্পষ্টভাবে চলতি ও আগামী বছরে কৃষি, কৃষক ও গ্রামসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কাজ নির্ধারিত হয়েছে। এসব কাজের মধ্যে আছে: দারিদ্র্য দূর করা, খাদ্য-নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, গ্রামাঞ্চলের আবাসিক পরিবেশের উন্নয়নসংক্রান্ত তিন বছরব্যাপী কার্যক্রম সম্পন্ন করা, এবং কৃষকদের জীবনমান উন্নত করে সচ্ছল সমাজের মানে উন্নীত করা, ইত্যাদি।
হান ছাং ফু বলেন, খাদ্যশস্যের উত্পাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া বরাবরই কৃষি ও গ্রামসংক্রান্ত কাজের প্রথম কর্তব্য। এটি অর্থনীতির নিম্নমুখী চাপসহ নানা অনিশ্চিত ঝুঁকি মোকাবিলার ভিত্তি। তিনি বলেন,
"চলতি বছরের প্রস্তাবে শস্যের উত্পাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে শস্যের উত্পাদন স্থিতিশীল রাখার নীতি ও কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তা ছাড়া, ২০২০ সাল নাগাদ উচ্চ মানসম্পন্ন কৃষিজমির পরিমাণ ৫.৩ কোটি হেক্টরে উন্নীত করার লক্ষ্যও এই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।"
হান ছাং ফু আরও বলেন, কৃষক ও ভূমির সম্পর্ক গ্রামীণ সংস্কার গভীরতর করার প্রধান বিষয়। ভূমিব্যবস্থার সংস্কারকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের সংস্কার-ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন,
"গ্রামাঞ্চলের জমি সমষ্টিগত মালিকানায় থাকা উচিত। একে প্রাইভেটাইজেশন করা যাবে না। কৃষিজমিতে কৃষি কাজ করা এবং কৃষকদের স্বার্থ সুনিশ্চিত করা উচিত। ভূমিব্যবস্থার সংস্কারকে কাজে লাগিয়ে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের প্রাণশক্তি যোগান দেওয়া যাবে বলে আমি মনে করি।"
প্রকাশিত প্রস্তাবে কৃষকদের মাথাপিছু নিট আয় বাড়ার প্রসঙ্গটিও এসেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
"বিগত কয়েক বছরে কৃষকদের আয় দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখনও পাচ্ছে। একটানা ৯ বছর ধরে তাদের আয় বৃদ্ধির হার শহর বা জেলার নাগরিকদের আয় বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে। চলতি ও আগামী বছরে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির এই প্রবণতা ধরে রাখতে, গ্রামের শিল্পকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করে তোলা এবং কৃষকদের আয় বাড়ানোর চ্যানেল বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে দিক্-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে।" (লিলি/আলিম)