আশ্চর্যের বিষয় হলো, পশ্চিমা দেশগুলোর প্রধান প্রধান গণমাধ্যম এমন কি সে দেশগুলোর কিছু কিছু রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক ও সামরিক লক্ষ্যে গল্প বানায় এবং নকল সংবাদ তৈরি করে, এমন ঘটনা কম নয়। ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধ সবার জানার মতো সে ধরণের ঘটনা। সে সময় মার্কিন সরকার একটি নকল অজুহাতে ইরাকের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। এ যুদ্ধে লক্ষাধিক ইরাকি বেসামরিক মানুষ এবং দশ সহস্রাধিক মার্কিন বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত হন। তবে এ পর্যন্ত মার্কিন ও ব্রিটিশ কোনো রাজনীতিবিদ নিজের ভুল ও মিথ্যার দায়িত্ব স্বীকার করে নি। তখন ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো মার্কিন প্রধান প্রধান গণমাধ্যম। তাদের মধ্যে কেউ ঘটনার প্রমাণ দিতে পারে নি।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর কিছু গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে যে, উইগুর জাতির বিখ্যাত কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ আব্দুরেহিম হেয়িত কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। তুর্কি সরকার এতে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তবে সর্বশেষ ভিডিওতে দেখা যায়, হেয়িত জীবিত আছেন এবং তিনি সুস্থ। তিনি তার মৃত্যুর খবর শুনে
অবাক হয়েছেন।
সত্যতা সংবাদ মাধ্যমের প্রাণ। প্রযোজকের তৈরি মিথ্যা গল্প সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হলে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাবেই। (রুবি/টুটুল)