
ফেব্রুয়ারি ১৫: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২০১৩ সালে সিপিপিসিসি ও এনপিসি'র অধিবেশন চলাকালে প্রত্যাশা প্রকাশ করেন যে, তিব্বতের বিভিন্ন জাতির লোকজন ঐতিহ্যিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিব্বতের ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করবে। গত ৬ বছরের মধ্যে সি'র নির্দেশনা ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে তিব্বতের ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়িত হয়েছে।

২০১৯ সালের বসন্ত উত্সব আর তিব্বতি উত্সবের সময় প্রায় একই। রাজধানী লাসার উপকন্ঠ এলাকায় তামা গ্রামে উত্সবের আমেজ ফুটে ওঠে। ২০১৮ সালে গ্রামের ৯৯৭টি পরিবার সবাই নতুন বাসায় উঠেছে, মাথাপিছু বার্ষিক আয় ২০ হাজারেরও বেশি ইউয়ান।

২০২০ সালে চীনের অন্যান্য প্রদেশের লোকজনের সাথে সচ্ছল জীবনযাপন বাস্তবায়ন করার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিব্বতের নির্দিষ্ট দারিদ্র্য বিমোচনেও ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্য বিমোচনের সরকারি পুঁজি বিনিয়োগ ৩০ বিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি। হিমালয় পর্বতের দক্ষিণাঞ্চলে তিনটি গ্রামের পুননির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন গ্রামে পানি,রাস্তা ও বিদ্যুত্সহ বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যবস্থা চালু হয়েছে, স্থানীয় গ্রামবাসীদের জীবনযাপনও অনেক উন্নত হয়েছে।

চীনের ত্রয়োদশ পাঁচসালা পরিকল্পনা চলাকালে তিব্বতের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করার পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামবাসীদের দারিদ্র্যমুক্ত বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। গত বছর ১০.৭ বিলিয়ন ইউয়ান প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে আর সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ ৬ লাখ ৬৬৭ হাজারটি, এভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দারিদ্র্যমুক্ত উভয়ই উপকৃত হয়েছে। (সুবর্ণা/টুটুল)







