চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ পরিচালনা করা সঠিক বাছাই: ইরানি কর্মকর্তা
  2019-02-13 15:39:44  cri

ফেব্রুয়ারি ১৩: প্রিয় শ্রোতা, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত বছরের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠিত চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৪০তম বার্ষিকীতে বলেন, গত ৪০ বছরের অনুশীলন প্রমাণ করে যে, চীনের উন্নয়ন অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আধুনিকায়নের জন্য সফল অভিজ্ঞতা এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য চালিকাশক্তি প্রদান করেছে। ইরানের অর্থনীতি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তাকারী সংস্থার চেয়ারম্যান আহমেদ জামালি সম্প্রতি সিআরআইয়ের সংবাদদাতাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ সঠিক বাছাই। তার ইতিবাচক প্রভাব সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে।

আহমেদ জামালি বলেন, ৪০ বছর আগেকার চীনের তুলনায় বর্তমান চীনের বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে চীন বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১০ সালের পর বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'আমরা চীনের গত ৪০ বছরের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার দিকে ফিরে তাকালে উপলব্ধি করতে পারি যে, চীনের অর্থনীতির অব্যাহত উন্নয়নে চীনা নেতৃবৃন্দের উত্থাপিত সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে প্রমাণিত হয়। ৪০ বছর আগে প্রবর্তিত সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চীন, এমন কি বিশ্বের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যাইহোক, উত্পাদন ও বিতরণ সবক্ষেত্রেই চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আহমেদ জামালি গত ২০-৩০ বছর ধরে ইরানের অর্থনীতি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তাকারী সংস্থায় কাজ করছেন। তিনি বহুবার চীন সফর করেছেন। তিনি বলেন, কয়েক বছর পরপরই চীন সফর করেন তিনি। প্রতিবার সফরের সময় তিনি অর্থনীতির উন্নয়ন দেখতে পান। জনসাধারণের জীবন-যাত্রা সংস্কারের সাফল্য প্রমাণ করেছে।

আহমেদ জামালি বলেন, "চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ একবারে প্রবর্তিত হয় নি। বরং ধাপে ধাপে প্রবর্তিত হয়েছে। চীনের অর্থনৈতিক নীতির একটি বৈচিত্র্যতা হচ্ছে, গত ৪০ বছর আগে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার থেকেই একেবারে বিশ্বের কাছে অর্থনীতির দরজা খুলে দেয় নি চীন। বরং অন্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন, যেমন অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রের উন্নয়ন অবস্থার সঙ্গে ধাপে ধাপে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে চীন।

আহমেদ জামালি বলেন, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি প্রবর্তনের প্রত্যক্ষ সাফল্য হচ্ছে চীন বিশ্বের বৃহত্তম উত্পাদনকারী এবং বৃহত্তম রপ্তানি দেশে পরিণত হওয়া। পাশাপাশি বিশ্বের মালামাল বাণিজ্যের পরিমাণে চীন বৃহত্তম দেশ। তিনি বলেন, চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে যে সাফল্য অর্জন করেছে, তার অন্য এক কারণ হচ্ছে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের অনুশীলন থেকে অভিজ্ঞতা সারসংকলন করে অব্যাহতভাবে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের বিষয় যোগানো।

তিনি বলেন, "গত শতাব্দীর ৯০ দশকে সংস্কারের কাজ পরিকল্পনা করা হয়। ৯০ দশক পর কাজটি বাস্তবায়ন শুরু হয়। ২১ শতাব্দীর শুরুতে সংস্কারের প্রাথমিক সাফল্য দেখা দেয়। বিশেষ করে ২০১২ ও ২০১৪ সালের পর এর আগের যে সব কার্যক্রম সাফল্যে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া, চীনা নেতাদের উত্থাপিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব চীনের অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ প্রস্তাব চীনের সংস্কারের বিষয় সম্প্রসারণ করেছে, যা ইউরোপ ও এশিয়া অঞ্চলে চীনের প্রভাব জোরদার করেছে। (রুবি/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040