তিব্বতে গণতান্ত্রিক সংস্কার চালু হওয়ার পর থেকে চিওমুলোং তিব্বতি অপেরাসহ তিব্বতের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি কার্যকরভাবে সংরক্ষণ করা হয়। তিব্বতি অপেরা পরিবেশনাদলের প্রাণবন্তভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। প্রতি বছর তিব্বতি পঞ্জিকার নববর্ষ চলাকালে তারা বিভিন্ন গ্রামে পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।
লাসা শহরের সাংস্কৃতিক ব্যুরোর একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১১ সালে তিব্বতি পঞ্জিকার নববর্ষ জাতীয় অবৈষয়িক কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এর পর থেকে তিব্বতি পঞ্জিকার নববর্ষের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও কারুকার্য জনগণের জীবনে ফিরিয়ে আনা হলো তার দৈনন্দিন কাজ।
তিব্বতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের ৬০ বছরের মধ্যে বিশেষ করে ২০০৫ সালে রাষ্ট্রীয় পরিষদে অবৈষয়িক কালচারাল হেরিটেজ সংরক্ষণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে তিব্বতের তিনটি প্রকল্প জাতিসংঘের অবৈষয়িক কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। ৮৯টি প্রকল্প এবং ৯৬ জন ব্যক্তি জাতীয় অবৈষয়িক কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। দশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার এ কাজে মোট ২২ কোটি ইউয়ান রেনমিনপি বরাদ্দ করেছে বলে ধারণা করা হয়।
লিলি/টুটুল