চীনা উপ-বাণিজ্য মন্ত্রী ওয়াং বিং নান প্রচারসভায় এক ভাষণে বলেন, চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা হল চীনের নতুন দফা বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি এবং ব্যবস্থা। 'নতুন যুগে যৌথভাবে ভবিষ্যত্ উপভোগ করা' হল চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার প্রতিপাদ্য এবং আমন্ত্রণ।
তিনি আরো বলেন, চীনের প্রায় ১.৪ বিলিয়ন লোকসংখ্যার বিরাট বাজার আছে। চীন ভোগ নতুনমানে দ্রুত উঠে যাওয়ার পর্যায়ে অবস্থিত। গত বছর চীনে ভোক্তা পণ্য খুচরা এবং আমদানির পরিমাণ ৯ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে ছিল। অনুমান অনুযায়ী ভবিষ্যত্ ১৫ বছরে চীনের আমদানি পরিমাণ হবে ৩০ ট্রিলিয়ন এবং সেবা খুচরা ১০...... মার্কিন ডলার হবে। এটি শুধু যে বিশ্বের অর্থনীতি বৃদ্ধির স্থিতিশীল শক্তির উৎস তা নয়, বরং বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
২০১৮ সালের ৫ থেকে ১০ নভেম্বর চীনের প্রথম আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা শাংহাইতে সফলভাবে আয়োজিত হয়। ১৭২টি দেশ, অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, ৩৬১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান, ৪ লাখেরও বেশি পেশাগত ক্রেতা, ৪৫০০জনেরও বেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং ৪১০০জনেরও বেশি সাংবাদিক প্রথম আমদানি মেলায় অংশ নেন। মেলায় ৫৭.৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চীনের প্রথম আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে ফরাসি কৃষি মন্ত্রী দিদিয়ার গিল্লুয়েমের নেতৃত্বে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত ফরাসি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রথম মেলায় অংশগ্রহণ করে। মেলায় ফরাসি প্রতিষ্ঠানগুলো ১.৫৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এতে প্রধান উৎপাদন এলাকার সরঞ্জাম, অটোমোবাইল, চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাদ্য ও সাংস্কৃতিক পণ্য অন্তর্ভুক্ত। ফরাসি গরুর মাংসও প্রথম চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় প্রদর্শিত হয়।
ফরাসি অর্থনীতি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ট্রেজারি বিভাগের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ক্রিস্টোফার বরিস বলেন, তাঁর দেশ চীনের আরও উন্মুক্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করে। ফ্রান্স এ বছর আরো উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং আরো বেশি ফরাসি প্রতিষ্ঠানকে চীনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় পাঠাবে।
ফ্রান্সের ল 'অরিয়াল গোষ্ঠী চীনে বিনিয়োগ করেছে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। গোষ্ঠীটি হল প্রথম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রথম ফরাসি কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। বর্তমান চীন হল গোষ্ঠীটির বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। গোষ্ঠীটির পরিচালনা কমিশনের সদস্য ও চীনে সিইও স্টিফেন রিন্ডার্কনেচ বলেন, তাঁর গোষ্ঠী চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলাকে অনেক গুরুত্ব দেয়। তাঁরা প্রথম মেলায় প্রচুর সাফল্য অর্জন করেছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে চীনের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার প্রস্তুতি কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। দু'মাসের মধ্যে নিবন্ধনের সাইনিং এলাকা ১লাখ বর্গ মিটার ছাড়িয়ে গেছে। (ছাই/টুটুল)