190129music
|
সঙ্গীত ক্ষেত্রে ওয়াং চিয়ে খুব উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত মহলে যোগ দেন। তার সঙ্গীত জীবনে মোট ৮০ টিরও বেশি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। বলা যায়, ওয়াং চিয়ে খুব উচ্চ প্রতিভাবান গায়ক।
ওয়াং চিয়ে'র বাবা মা দু'জনই চীনের হংকং-এর বিখ্যাত এবং বড় চলচ্চিত্র কোম্পানি 'শাওসি'-এর অভিনেতা। বলা যায়, ওয়াং চিয়ে 'শাওসি' কোম্পানির চলচ্চিত্র ঘাঁটিতে বড় হয়েছেন। ওয়াং চিয়ে তিন বছর বয়সেই 'শাওসি'-এর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার প্রথম সুযোগ পান। এ ছাড়া তিনি বাবা'র সঙ্গে একই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
১২ বছর বয়সের সময় ওয়াং চিয়ে'র বাবা মা'র বিবাহচ্ছেদ হয়। ১৪ বছর বয়সে ওয়াং চিয়ে জীবনের প্রথম গান রচনা করেন , গানের নাম 'পুতুল কেঁটেছে'।
আসলে সঙ্গীত মহল যোগ দেয়ার আগে ওয়াং চিয়ে'র জীবন ছিলো অনেক কষ্টের। তিনি স্কেটিং শিক্ষক, পানশালার গায়ক, টেক্সি ড্রাইভারের কাজ করেছেন। ১৯৮৭ সলে তিনি তাইওয়ানের 'ফেইদিয়ে' অ্যালবাম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত মহলে যোগ দেন।
১৯৮৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর, ওয়াং চিয়ে তাইওয়ানে প্রথম অ্যালবাম 'একটি গেম, একটি স্বপ্ন' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবাম তাইওয়ানের সঙ্গীত তালিকায় একবার শীর্ষস্থান অধিকার করে।
১৯৮৮ সালে ওয়াং চিয়ে নিজের দ্বিতীয় অ্যালবাম 'তোমাকে ভুলে যাই, নিজেকে ভুলে যাই' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবাম সেই বছরের দশটি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যালবাম তালিকার শীর্ষস্থান অর্জন করে। এই অ্যালবামের প্রধান গান 'তোমাকে ভুলে যাই, নিজেকে ভুলে যাই', 'আমি সবসময় তোমাকে ভালোবাসি' তাইওয়ান, সিংগাপুর এবং মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সঙ্গীত তালিকার শীর্ষস্থানও লাভ করে।