বৈঠককালে ওয়াং ই বলেন, পারস্পরিক সমঝোতা ও সমর্থন হলো দু'দেশের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। দু'দেশ একসঙ্গে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে কৌশলগত সহযোগিতা চালাবে। দু'দেশ বিশ্বশান্তি ও উন্নয়ন জোরদারে ব্যাপক মতৈক্য ও জনমতামতের ভিত্তি গড়ে তুলবে। ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ঘনিষ্ঠ সমঝোতা উন্নত করতে ইচ্ছুক চীন; যাতে নিয়মভিত্তিক বহুপক্ষবাদ ও জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা রক্ষা করা যায়।
জবাবে দেহিঁও বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর উচ্চ গুরুত্ব দেয় ফ্রান্স। তাঁর দেশ চীনের সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ে দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ প্রণয়ন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা জোরদার, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ উন্নত, জলবায়ু, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সংস্কার ও বিশ্বব্যাপী মোকাবিলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে সমঝোতা জোরদার এবং যৌথভাবে বহুপক্ষবাদ রক্ষা করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, ফ্রান্স চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেদেশে বিনিয়োগে স্বাগত জানায়।
এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় কোরীয় উপদ্বীপ সমস্যা, ইরানের পরমাণু সমস্যা, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি, জাতিসংঘের ভূমিকা জোরদার ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কার নিয়ে কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
(ছাই/তৌহিদ)