গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে এ চুক্তি হয়।
এই চুক্তির নাম 'ফুলবাড়ি উপজেলার কয়লাচালিত বিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রথম দফার ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ প্রকল্পের যৌথ উন্নয়নচুক্তি এবং প্রকল্পের সামষ্টিক ঠিকাদার চুক্তি'। চুক্তির মূল্য ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার। এটি তৃতীয় পক্ষের বাজারে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও পশ্চিমা দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতামূলক উন্নয়নের একটি দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশে চায়না চেম্বার অব কমার্সের প্রধান লিন ওয়েই ছিয়াং, পাওয়ার চায়নার ইন্টারন্যাশনালের মহাব্যাবস্থাপক তিং জেং কুও এবং জিসিএম কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক তেং ওয়েই ওয়েনসহ সংশ্লিষ্ট অতিথিরা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তিং জেং কুও বলেন, বৈশ্বিক ব্যাপকতা থেকে সর্বোচ্চ এবং শিল্প চেইন থেকে সবচেয়ে সুসংহত এমন একটি বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকারী কোম্পানি হিসেবে পাওয়ার চায়না সবসময় বৈশ্বিক জ্বালানি ও অবকাঠামো নির্মাণকাজে সেবা প্রদান করে আসছে। চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবের পাশেও আছে কোম্পানিটি। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই ৩টি প্রকল্পে পুঁজি বিনিয়োগ করেছে পাওয়ার চায়না। এতে পুঁজি বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ১৪৯ কোটি মার্কিন ডলার। এতে ঠিকাদার প্রকল্পের সংখ্যা ২২টি এবং মোট মূল্য ৪৬০কোটি মার্কিন ডলার।
জিসিএমের মহাব্যবস্থাপক তেং ওয়েই ওয়েন বলেন, ব্যবসায়িক ফলাফল থেকে এতো ভাল আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাওয়ার চায়নার সহযোগী হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। পাওয়ার চায়নার সঙ্গে প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে তিনি আস্থাবান । কয়লা-খনি, বিদ্যুত্ ও নির্মাণসামগ্রীসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পের উন্নয়ন মজবুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়ে যাবে । পাশাপাশি, চীন সরকারের উত্থাপিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল নাগাদ ১১৬টি দেশে ৩৭৩টি বিদেশি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে পাওয়ার চায়না। এর ব্যবসা ১২৫টি দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে জড়িত। পাওয়ার চায়নার ২০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। এতে ১০টি অবকাঠামো প্রকল্পের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। (ওয়াং হাইমান/টুটুল)