পদত্যাগপত্রে জিম ইয়ুং কিম বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগের পর তিনি উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামোর পুঁজি বিনিয়োগ সংস্থায় যোগ দেবেন এবং পাশাপাশি একাডেমিক গবেষণা কাজ শুরু করবেন। পদত্যাগের কোনো কারণ জানাননি তিনি। তবে তাঁর পদত্যাগ মার্কিন সরকারের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করেছে কোনো কোনো গণমাধ্যম। গণমাধ্যমে বলা হয়, মার্কিন সরকারের চাপের মুখে জিম ইয়ুং কিম বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকার একতরফাবাদ, কয়লা উত্পাদন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে। তবে জিম ইয়ুং কিম বিশ্বায়ন, নবায়নযোগ্য বিশুদ্ধ জ্বালানির ব্যবহার এবং জলবায়ু সমস্যায় গুরুত্ব দেন।
এ ছাড়া, জিম ইয়ুং কিম তাঁর কার্যমেয়াদে চীনসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি উন্নয়নশীল দেশের উত্থাপিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কার প্রস্তাবে সমর্থন দেন, বহুপক্ষীয় অবাধ বাণিজ্যের প্রতি সমর্থ জানান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করেন।
জিম ইয়ুং কিমের পদত্যাগের পর নতুন প্রেসিডেন্ট কীভাবে নির্বাচিত হবে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব ব্যাংক গঠনের পর বরাবরই মার্কিন নাগরিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই মনোনয়ন দিয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র মনোনীত বিশ্ব ব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে যাচাই করবে অন্য সদস্য দেশগুলো। যদি মার্কিন সরকার অযোগ্য কাউকে সমর্থন দেয়, অন্যান্য সদস্য দেশ নিশ্চয়ই তার বিরোধিতা করবে।
(শুয়েই/তৌহিদ)