রানী
  2019-01-13 19:05:51  cri



বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে প্রথমে আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করবো নারী কন্ঠশিল্পী নিউ মেং ইয়াওকে। তিনি ১৯৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেইজিং কনটেমপোরারি মিউজিক একাডেমির জাজ ভোকাল বিভাগে লেখাপড়া করেন। তিনি ওয়েবসাইটে নিজের কন্ঠে গান প্রকাশ করার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি অন্য তিন জন মেয়ের সঙ্গে সংগীত গ্রুপ গড়ে তুলেছেন। তিনি বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'লোভী+যা দেখেছি তা খাবো' নামের গান। তিনি একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় গানটি গেয়েছেন। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন নিউ মেং ইয়াও'র কন্ঠে 'লোভী+যা দেখেছি তা খাবো' নামের গান। তাঁর চেহারা ও ফিগার দেখতে ভাল নয়। সেজন্য বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় কোনো স্থান পান না। কিন্তু ওয়েবসাইটে তাঁর প্রকাশিত নিজের কন্ঠে গান প্লের পরিমান ৪কোটিরও বেশি। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'ভিক্টোরিয়া'স সিক্রেট' নামের গান শোনাবো। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন নিউ মেং ইয়াও'র কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদেরকে চীনের তাইওয়ানের নারী কন্ঠশিল্পী ছি ইউ'র সঙ্গে পরিচয় করবো। তিনি ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর তাইওয়ানের তাইচং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন এবং মার্কিন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির লস এঞ্জেলেস শাখা থেকে নৃবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি একটি গান প্রকাশ করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীত জগতে প্রবেশ করেন। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'জাহাজের সংগীত' শীর্ষক গান। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং, ১৯৯৬ সালে রিলিজ হয়। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন ছি ইউ'র কন্ঠে 'জাহাজের সংগীত' নামের গান। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একই বছর তাঁর কন্ঠে চলচ্চিত্রের থিম গান তাইওয়ানের ১৬তম গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের থিম সংয়ের পুরস্কার লাভ করেছে। ১৯৮৭ সালে তিনি প্রথম ইংরেজি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি চীনের নবম স্বর্ণ সংগীত পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ ম্যানডারিন নারী কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'একটি দিবালোক এভিনিউ' নামের গান শোনাবো। গানটি ১৯৮২ সালে রিলিজ হয়। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন ছি ইউ'র কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আরেকজন নারী কন্ঠশিল্পী রং জু এর'র সঙ্গে পরিচয় করবো। তিনি ১৯৮০ সালের ১৬ জুন চীনের হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি হংকংয়ের কারাওকে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৯৯ সালে তিনি প্রথম ইপি প্রকাশ করেন। ইপিটি ১.৩ লাখেরও কপি বিক্রি হয়। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'উত্থান' নামের গান। রং জু এর নারী কন্ঠশিল্পী গু জু জি'র সঙ্গে গানটি গেয়েছেন। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন রং জু এর'র কন্ঠে 'উত্থান' নামের গান। ২০০১ সালে তিনি প্রথমে একক কনসার্ট আয়োজন করেন। ২০০৩ সালে তাঁর কন্ঠে গান দশটি শ্রেষ্ঠ সংগীতের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। একই বছর তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নারী কন্ঠশিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি বেইজিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশনা করেন। ২০১১ সালে তিনি ব্রিটেনের রয়েল অ্যালবার্ট হলে একক কনসার্ট আয়োজন করেন। তিনি হলেন হলটিতে একক কনসার্ট আয়োজনের প্রথম চীনা নারী কন্ঠশিল্পী। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি হংকংয়ে টানা ১৫টি কনসার্ট আয়োজন করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'রানী' নামের গান শোনাবো। গানটি ২০১৫ সালে রিলিজ হয়। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040