0113
|
আকাশ: বন্ধুরা,আমি সম্প্রতি আবার আমার স্মৃতিতে ঢাকার উত্তরায় ফিরে গিয়েছিলাম, টুটুল ভাই আমাকে সাহায্য করার কারণে। অনেক ধন্যবাদ টুটুল ভাইয়া।
টুটুল:হাহা,আসলে বন্ধুরা সম্প্রতি আমাদের সিআরআইয়ের সাবেক বিশেষজ্ঞ শিহাব ভাই চীন সফরে আসেন। তিনি সিআরআইয়ের অফিসে এসেছিলেন। এজন্য আমি আমার বাসায় শিহাব ভাই এবং আকাশ ভাইয়ের জন্য কিছু বাংলাদেশি খাবার রান্না করেছিলাম।
আকাশ: হ্যাঁ। সেদিন আমরা অনেক গল্প করেছি। সেদিন অনেক পুরনো স্মৃতি আমাদের মনে পড়ে যায়। আমরা অনেক আনন্দের সময় কাটিয়েছি।
ভাই, আসলে কিছু কিছু স্মৃতি আমার মনে আছে, তোমার মনে নেই, কিছু কিছু স্মৃতি তোমার মনে আছে, আমার মনে নেই, কিন্তু সব পুরনো বন্ধুরা একত্রিত হলে বা একজায়গায় মিলিত হলে আমাদের পুরনো স্মৃতি সব ফিরে আসে, তাইনা? আরেকটি কথা আমি বলতে চাই, টুটুল, তোমার একটা বিরিয়ানির রেস্তোরাঁ খোলা উচিত। নাম হচ্ছে টুটুল বিরিয়ানি। এ ব্যান্ড তোমার শুরু করা উচিত। বন্ধুরা, টুটুলের রান্না বিরিয়ানি ভীষণ মজার ও সুস্বাদু। বেশি তেল নেই, বাহ, কি সুস্বাদু।
টুটুল: হাহা ভাই, তাহলে আমি বেইজিংয়ে একটি টুটুল বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ খুলবো, কেমন ভাই?
আকাশ: তুমি উত্তরায় তোমার রেস্তোরার একটি শাখা খুলবে, কেমন? আমি ওই টুটুল বিরিয়ানি রেস্তোরাঁয় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবো, কেমন? বিমানবন্দরের রাস্তায় একটি বড় টুটুল বিরিয়ানি লেখা বোর্ড লাগিয়ে দেবে, কেমন?
টুটুল: হাহা ভাই, সত্যি অনেক ধন্যবাদ। আপনি এবং শিহাব ভাই আমার রান্না পছন্দ করেন, এজন্য আমি অনেক অনেক খুশি।
আকাশ: সত্যি তোমাকে ধন্যবাদ। আমি বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসার পর এই প্রথম বাংলাদেশি খাবার খেয়েছি, এবং পুরনো বন্ধুরা একসাথে, সত্যি যেন উত্তরায় ফিরে আসার মতই। ভাইবোনেরা, নতুন বছরে আমি কামনা করি আমরা বেশি বেশি সময় কাটাতে পারবো এবং সংগে থাকতে পারবো আমাদের পরিবারের সংগে এবং আমাদের পুরনো বন্ধুদের সংগে।
টুটুল:...
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, এখন আমরা আপনাদের সাথে দুটি মজার খবর শেয়ার করবো, কেমন?
টুটুল: চীনের 'ছাংএ্য-৪' মহাকাশযানের চন্দ্রতরীর নাম 'ইউথু-২'
জানুয়ারি ৪: চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী চীনের চন্দ্রযান 'ছাংএ্য-৪' এর চন্দ্রতরীর নাম নির্ধারণ প্রতিযোগিতা শেষে আজ (শুক্রবার) ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। চন্দ্রতরীর নাম রাখা হয়েছে 'ইউথু-২'; যার আক্ষরিক অর্থ 'জেড খরগোশ'।
গত ৮ ডিসেম্বর রাত ২টা ২৩ মিনিটে ছাংএ্য-৪ চন্দ্রযান সফলভাবে মহাকাশে যাত্রা করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে চাঁদের দূরবর্তী অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃষ্ঠে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান। এরপর ছাংএ্য-৪ চন্দ্রযানের চন্দ্রতরী 'ইউথু-২' মূল চন্দ্রযান থেকে বের হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে ও তার নির্দিষ্ট কাজ শুরু করে।
'ছাংএ্য-৪' চন্দ্রযানের চন্দ্রতরী 'ইউথু-২' চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করেছে
জানুয়ারি ৪: চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন জানিয়েছে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনের 'ছাংএ্য-৪' চন্দ্রযানের চন্দ্রতরী 'ইউথু-২' মূল চন্দ্রযান থেকে বের হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে এবং তার নির্দিষ্ট কাজ শুরু করেছে।
ইউথু-২ চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের সময় তার ছবি তুলেছে ছাংএ্য-৪ চন্দ্রযান। মানবজাতির ইতিহাসে এই প্রথম মানুষের তৈরি কোনো যন্ত্র চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে ও ছবি তুলেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি ছাংএ্য-৪ চন্দ্রযান সফলভাবে চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃষ্ঠে অবতরণ করে।
টুটুল: বন্ধুরা, এবারের ছাংএ্য-৪ চন্দ্রযান সফলভাবে চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃষ্ঠে অবতরণের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজ অনেক দৃষ্টি রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন টুইটারে ছাংএ্য-৪ দলটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর চীন হচ্ছে তৃতীয় দেশ, যে দেশ চাঁদে অবতরণ বাস্তবায়ন করেছে। এবারের অবতরণ হচ্ছে মানবজাতির মহাকাশ অনুসন্ধানের একটি মাইলস্টোন। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এটা একটি সাহসী অভিযান।
আকাশ: বন্ধুরা, ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে পছন্দের এবং আগ্রহের বিষয় ছিলো জ্যোতির্বিজ্ঞান।ছোটবেলায় আমি এ সম্পর্কিত অনেক বই কিনতাম এবং অনেকসময় পড়তাম। এ ছাড়া টাকা সেভ করে একটি খুব ছোটো জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত টেলিস্কোপ কিনেছিলাম। এ বিষয় সম্পর্কে জানতে আমি ছোটবেলায় অনেক আগ্রহী ছিলাম।
এবারের ছাংএ্য-৪ চন্দ্রযানের মহাকাশে যাত্রা মানবজাতির মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কিছুটা অবদান রাখতে পারবে বলে আমার আশা।
টুটুল:
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, এখন আমরা আগের অনুষ্ঠানের সাহস সম্পর্কিত গল্প আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কেমন?
টুটুল: ম্যাডাম চেতনা স্নেহা বলেন, আমি আরেকটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। সুনিতা কাম্বলে, তিনি একজন পশু চিকিত্সক। তিনি একজন দলিত। তিনি অচ্ছুত জাত থেকে এসেছেন। কিন্তু তিনি ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কে জানেন। এই কাজ সাধারণত পুরুষ চিকিত্সকরা করে থাকেন। সেজন্য এ কাজ তার জন্য আরো কঠিন। কারণ তিনি অচ্ছুত জাত থেকে এসেছেন। কিন্তু তিনি খুব পরিশ্রমী। তিনি সাফল্যের সাথে একজন ছাগলের চিকিত্সক হয়েছেন। সম্প্রতি, তিনি একটি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। আমি তার বাসায় গিয়েছি অভিনন্দন জানানোর জন্য। যখন আমি তার বাসায় প্রবেশ করি, তখন আমি ভীষণ আশ্চর্য হয়ে উঠি, কারণ উচ্চবর্ণের নেতা, লোকজন তার বাসায় বসে আছেন এবং চা ও পানি পান করছেন। এ ধরনের অবস্থা ভারতে খুব কম। কারণ ভারতে উচ্চবর্ণের নেতারা অচ্ছুত বা নিম্নবর্ণের লোকদের বাসায় যায় না এবং চা, পানি পান করে না।
তারা আশা করেন সুনিতা গ্রামের লোকজনের মধ্যে গিয়ে বক্তব্য রাখবেন। সুনিতা ভারতের শতাব্দীর পুরনো বর্ণের অবস্থা ভেঙে দিয়েছেন।
আরেকজন মেয়ের নাম হচ্ছে সারিতা, তার বয়স ১৬ বছরের কম। তিনি এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তিনি আমাদের খেলাধুলার পরিকল্পনার অংশ। ভারতের পক্ষ থেকে তিনি হকি প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনারা জানেন তিনি কোথায় যেতে চান? ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক গেমসে। তিনি অনেক গরীব কমিউনিটি থেকে এসেছেন। আমি তার জন্য অনেক অনেক গর্বিত। সারিতা, কেরাবাই, সুনিতার মতো মিলিয়ন মিলিয়ন নারী আমাদের আশেপাশে আছেন, বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় তারা আছেন, আপনাদের আশেপাশেও এ রকম মানুষ আছেন, প্রথমে হয়তো আপনি মনে করতে পারেন যে তাদের বলার এবং শেয়ার করার কিছু নেই, যদি আপনি এটা মনে করেন, তাহলে ভুল করবেন। আমার ভাগ্য খুব ভালো যে, আমি তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তারা তাদের গল্প আমাকে শেয়ার করেছেন, তাদের মেধা আমাকে শেয়ার করেছেন, আমার ভাগ্য খুব ভালো, কারণ আমি তাদের সাথে থাকতে পারি।
আকাশ: বন্ধুরা, গত কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমরা চীনের নারী পিং পং খেলোয়াড় তেং ইয়া পিংয়ের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এ গল্প আসলে অধ্যবসায় সম্পর্কিত। তারপর আমরা ভারতের গ্রামের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, তা সাহস সম্পর্কিত। এইরকম অধ্যবসায় এবং সাহস সম্পর্কিত ধারাবাহিক গল্প নতুন বছরের উপহার হিসেবে আমরা আপনাদের দেবো, কেমন? আশা করি আপনারা পছন্দ করবেন।
টুটুল:
আকাশ: অনুষ্ঠান শেষে আমি আরেকটি কথা আমাদের বন্ধুদেরকে উপহার হিসেবে দিতে চাই। এটা হচ্ছে: সবকিছু তখন শেষ হবে যখন এটি ভাল হবে। যদি এটি এখন ভালো না হয়, তাহলে এটা এখন শেষ হবে না।
সবার একটি চমত্কার এবং ভালো বছরের প্রত্যাশা করছি।