২০ মার্চ শেষ হবে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৪০তম বার্ষিকীর প্রদর্শনী।।
চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৪০তম বার্ষিকীর প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ২০ মার্চ। গত ১৩ নভেম্বর এটি বেইজিংয়ে শুরু হয়। এ প্রদর্শনী চীনের বিভিন্ন মহলকে আকর্ষণ করেছে।
গত ১৩ নভেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতীয় জাদুঘরে এ প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং প্রদর্শনীর ইতিবাচক মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, সবার উচিত প্রদর্শনীর মাধ্যমে একই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া, চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া এবং সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পথে চলার প্রতিজ্ঞা করা।
১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রদর্শনীতে এসেছেন ২২ লাখ মানুষ। প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শক এটি পরিদর্শন করেছেন।
'চীনের ইতিহাস গবেষণালয়' প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট সি'র অভিনন্দন-বার্তা।
চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির 'চীনের ইতিহাস গবেষণালয়' ৪ জানুয়ারি বেইজিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, চীনের প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং এক অভিনন্দন-বার্তায় সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে গবেষকদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ইতিহাস একটি আয়না, তার মাধ্যমে অতীত অভিজ্ঞতা দেখা যায়, বোঝা যায়। ইতিহাসের উপর গুরুত্ব দেওয়া, ইতিহাস নিয়ে গবেষণা ও লেখাপড়া করা- চীনা জাতির একটি বৈশিষ্ট্য। নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্রে অবিচল থাকতে ও উন্নয়ন করতে চাইলে চীনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করা দরকার। মানবজাতির উন্নয়নের ঐতিহাসিক নিয়ম উপলব্ধি করে ইতিহাস থেকে জ্ঞানার্জন করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, ইতিহাস গবেষণা হলো সব সামাজিক বিজ্ঞানের ভিত্তি। চীনের ইতিহাস গবেষণালয়ের গবেষকরা ঐতিহাসিক বস্তুবাদের অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গি, ধারণা ও উপায়ে অবিচল থেকে চিন্তাশীল রচনা বের করবে এবং শ্রেষ্ঠ ইতিহাসবেত্তা লালনপালন করবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রেসিডেন্ট সি।
'পুনর্জন্ম: ব্যারোক (Baroque) সময়ের সাইলেসিয়া (Silesia)' প্রদর্শনী শুরু।
পোলিশ রোকলা জাতীয় যাদুঘর ও বেইজিং ক্যাপিটাল মিউজিয়ামের যৌথ উদ্যোগে বেইজিংয়ে 'পুনর্জন্ম: ব্যারোক (Baroque) সময়ের সাইলেসিয়া (Silesia)' শীর্ষক প্রদর্শনী প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ১৭ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের বিভিন্ন বিষয়ের প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে। প্রদর্শনীতে ব্যারোক শিল্পের সমৃদ্ধি এবং সাইলিয়া অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধারের প্রদর্শন করা হয়, তা ছাড়া, অনেক চীন-ইউরোপীয় সংস্কৃতিও দর্শকদের সামনে হাজির করা হয়।
সাইলেসিয়া (Silesia) হলো মধ্য ইউরোপের একটি ঐতিহাসিক ভৌগোলিক নাম। বর্তমানে, অঞ্চলটির বেশিরভাগ পোল্যান্ডের অধিবাসী, একটি ছোট অংশ চেক প্রজাতন্ত্র এবং জার্মানিভুক্ত। সাইলেসিয়া (Silesia) অঞ্চলের ইতিহাসে রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের ফলে বহু জাতিগত গোষ্ঠী বিনিময় এবং সংস্কৃতি ও শিল্পের একীকরণ হয়েছে। চীনা ক্যাপিটাল মিউজিয়াম এবং পোল্যান্ডের রোকলওয়ের জাতীয় যাদুঘর যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীটিতে সিলসিয়া অঞ্চলের শিল্প ও কারুশিল্প দেখা যায়। ১৭ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সাইলেসিয়া আবারও এক শক্তিশালী অঞ্চল হয়ে ওঠে। শিল্পে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। প্রদর্শনীটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। পেইন্টিংস, ভাস্কর্য, হস্তশিল্প এবং অন্যান্য কারুশিল্পের মাধ্যমে সিলিসিয়া অঞ্চলের জটিল ও পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক বিষয়গুলো প্রদর্শিত হয়।
চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৪০তম বার্ষিকীর ছবি প্রদর্শনী সাও পাওলোতে অনুষ্ঠিত।
সম্প্রতি সাও পাওলোতে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৪০তম বার্ষিকীর ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক-একটি ছবিতে কেবল ৪০ বছরের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের অসাধারণ সাফল্যগুলিই নয়, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের প্রক্রিয়ার মধ্যে চীন ও প্রবাসী চীনাদের অকৃত্রিম অবদানের প্রশংসা করা হয়।
স্টেট কাউন্সিলের প্রবাসী চীনা বিষয়ক অফিস, চীনা নিউজ সার্ভিস, সাও পাওলো এশিয়ান সংস্কৃতি চীনা চ্যানেল এবং সাও পাওলোতে চীনের কনস্যুলেট জেনারেল যৌথভাবে এ ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এবার অনুষ্ঠানের সংগঠক সাও পাওলো এশিয়ান সংস্কৃতি চীনা চ্যানেলের পরিচালক ফাং সান জিং বলেন, চীনের শক্তি বৈদেশিক চীনা ও প্রবাসী চীনাদের সমর্থন এক সূত্রে গাঁথা। তাদের অতীত অবদান বিশ্বব্যাপী মনে রাখা উচিত।
(জিনিয়া/তৌহিদ)