ওয়াং ই বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই বুর্কিনা ফাসো সফরে এসে তিনি খুশি। চীনের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বুর্কিনা ফাসো সফর, যা তাত্পর্যপূর্ণ। গত বছরের মে মাসে বুর্কিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তিনি 'এক-চীননীতি' গ্রহণ করেন। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পর বিগত ছয় মাসে দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট কাবোরে চীন সফর করেন এবং প্রথমবারের মতো চীন-আফ্রিকা ফোরামের শীর্ষসম্মেলনে অংশ নেন। সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য পৌঁছান দু'দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
ওয়াং ই আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট কাবোরের সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে। দু'পক্ষ একমত হয়েছে যে, 'এক-চীননীতি' হচ্ছে দু'দেশের সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি। বৈঠকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পারস্পরিক বিনিময় জোরদার করা, বহুপক্ষবাদ অনুসরণ করা, এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামগ্রিক ও দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণে কাজ করার ব্যাপারে ঐকমত্যও প্রতিষ্ঠিত হয়। (জিনিয়া/আলিম/লিলি)