জিয়াং ইয়াং চুও মা
  2018-12-18 19:40:09  cri

জিয়াং ইয়াং চুও মা, ১৯৮৪ সালে চীনের সিছুয়ান প্রদেশের তিব্বত জাতি স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের দ্য ক্য জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের খুবই জনপ্রিয় তিব্বতি জাতির নারী কণ্ঠশিল্পী। তিনি ২০০৫ সালে চীনের সিছুয়ান কনসার্ভাটারি অব মিউজিক থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি খুব সাধারণ একটি তিব্বতি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি সংগীত সম্পর্কে অনেক আগ্রহী এবং মেধাবী ছিলেন।

(১ 'স্বর্গের মতো ভালোবাসা')

পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় মাধ্যমিক স্কুল থেকে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে জেলার একটি রেস্তরাঁয় চাকরি নেন। তিনি থালা-বাসন ধোয়ার কাজ থেকে খাবার পরিবেশক হিসেবে কাজ করতেন। রেস্তরাঁয় কাজের সময় রেস্তোরাঁর শিল্পী দলে শিল্পীর অভাব হওয়ায় তিনি মাঝে মাঝে মঞ্চে উঠে গান গাইতেন। একবার রেস্তোরাঁর ভোজসভায় তার বিশেষ কণ্ঠ লক্ষ্য করেন এক কর্মকর্তা। তারপর সেই কর্মকর্তার সাহায্যে তিনি জেলার শিল্পী দলে ভর্তি হন। শিল্পী দলে প্রবেশের পর তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে সংগীতের বিভিন্ন বিষয় শেখেন এবং পরে তিনি কানজি তিব্বত জাতি স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের নৃত্যগীতি দলে যোগ দেন।

(২ 'দেশ এবং প্রিয় মানুষ উভয়ই ভালোবাসি')

জিয়াং ইয়াং চুও মা ছোটবেলা থেকেই বাবা মাকে কৃষি কাজে সাহায্য করতেন। এরই মাধ্যমে তার চরিত্র অনেক পরিশ্রমী ও দৃঢ় হয়। তিব্বতের মালভূমিতে আবহাওয়া বেশি ঠাণ্ডা এবং অক্সিজেন ঘাটতিও রয়েছে। জিয়াং ইয়াং চুও মার লেখাপড়া, জীবনযাপন এবং পারফর্ম অনেক কঠিনতার সম্মুখীন হয়। কঠিনতা যত বড়ই হোক-না-কেন, জিয়াং ইয়াং চুও মা কখনই মাথা নত করেননি। মাঝে মাঝে পরিবেশ এত কষ্টকর হত যে, অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে তার মাথা অনেক ব্যথা করত। জিয়াং ইয়াং চুও মা একটি শান্ত জায়গায় কিছুক্ষণ কাঁদতেন। তারপর অশ্রু মুছে আবারও হাসিমুখে কাজ করতেন।

(৩ 'ক্য সাং লা')

সময় পেলে জিয়াং ইয়াং চুও মা নৃত্যগীতি দলের অভিজ্ঞ শিল্পীদের কাছ থেকে শিখতেন। এর মাধ্যমে সংগীতে তার দক্ষতা বাড়তে থাকে। আরও বড় মঞ্চে কাজ করার জন্য ইয়াং চুও মা বেইজিংয়ে আসেন। এই শহর তার কাছে অনেক অপরিচিত। তবে তিনি খুব সাহসী মেয়ে, তিনি কখনই কঠিনতাকে ভয় করেননি। তিনি বিশ্বাস করেন- একদিন নিশ্চয়ই নিজের সংগীতের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

(৪ মাতৃভূমির গান)

২০০৫ সালে জিয়াং ইয়াং চুও মা সিছুয়ান কনসার্ভাটারি অব মিউজিক থেকে স্নাতক পাস করেন। তারপর একটি নৃত্য নাটক 'স্বপ্নের মত খাং বা'তে অংশগ্রহণ করেন এবং তা সিছুয়ান প্রদেশের পঞ্চম সংখ্যালঘু জাতির শিল্পী উত্সবে সংগীতে প্রথম পুরস্কার পায়। ২০০৬ সালে জিয়াং ইয়াং চুও মা চীনের তৃতীয় সংখ্যালঘু জাতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং একক সংগীতে সোনালী পুরস্কার জয় করেন।

(৫ 'আজ রাতে ছোট বৃষ্টি')

২০০৮ সালে জিয়াং ইয়াং চুও মা'র প্রথম অ্যালবাম 'এই পাহাড়, এই নদী' প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে, তার আরেকটি অ্যালবাম 'সোনালী কল' মুক্তি পায়। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তার নতুন অ্যালবাম 'সোনালী গৌরব' প্রকাশিত হয়।

২০০৯ সালের মার্চ মাসে জিয়াং ইয়াং চুও মা চীনের কেন্দ্রীয় এবং রাষ্ট্রীয় টিভি স্টেশন—সিসিটিভির 'তিব্বতের কৃতদাস ব্যবস্থা থেকে মুক্তির ৫০ বছর পূর্তির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে' অংশ নেন। সে বছরের জুন মাসে, তিনি নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর উপলক্ষ্যে এক উদযাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং সুন্দর গান পরিবেশন করেন।

(৬ 'চায়ের নামে')

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, জিয়াং ইয়াং চুও মা তিব্বতি চান্দ্রবর্ষের নববর্ষের উদযাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং 'তিব্বতি নববর্ষ শুভ হোক' গানটি পরিবেশন করেন। একই বছরের এপ্রিলে তার আরেকটি অ্যালবাম 'চীনের কণ্ঠ' প্রকাশিত হয়।

২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে, জিয়াং ইয়াং চুও মা'র গানের অ্যালবাম 'সোনালী আকর্ষণ' মুক্তি পায়।

(৭ 'মনের মালভূমি')

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে মূলত চীনের জনপ্রিয় গায়িকা জিয়াং ইয়াং চুও মা'র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের শোনাবো তার আরেকটি গান; গানের নাম 'মনের ফুল'।

(৮ মনের ফুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040