'বিরতি কঠিন'
  2018-12-16 19:12:04  cri



বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আপনাদেরকে চীনের হংকংয়ের নারী কন্ঠশিল্পী স্যু সিয়াও ফেংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি হুপেই প্রদেশের উহান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ মালে তিনি পরিবারের সঙ্গে হংকংয়ে স্থানান্তর করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি হংকংয়ের সংগীত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৬৯ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। আজ প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'বিরতি কঠিন' নামের গান। গানটি ১৯৮৮ সালে রিলিজ হয়। গানের কথা চীনের প্রচীনকালের একটি বিখ্যাত কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন স্যু সিয়াও ফেংয়ের কন্ঠে 'বিরতি কঠিন' নামের গান। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথমে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে পুনরায় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত গানগুলো চীনের মূল ভূভাগে খুবই জনপ্রিয় হয়। ১৯৮১ সালে তিনি 'বাতাসের ঋতু' নামের গান দিয়ে সারা চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হংকংয়ের অষ্টম স্বর্ণ মেলোডির পুরস্কার লাভ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'চিরতরুণ বাবা' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ১৯৬৮ সালে রিলিজ হয়। প্রথম গেয়েছেন চীনের তাইওয়ানের বিখ্যাত নারী কন্ঠশিল্পী দেং লি জুন। আশা করি, আপনারা স্যু সিয়াও ফেংয়ের কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন স্যু সিয়াও ফেংয়ের কন্ঠে 'চিরতরুণ বাবা' নামের গান। ১৯৯২ সালে তিনি টানা ৪৩টি কনসার্ট আয়োজন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি হংকংয়ে টানা ১৫টি কনসার্ট আয়োজন করেন। পরে তিনি আস্তে আস্ত সংগীতজগত থেকে দূরে সরে যান। ২০০৫ সালে তিনি পুনরায় সংগীতজগতে ফিরে আসেন এবং সে-বছর হংকংয়ে টানা ২৩টি কনসার্ট আয়োজন করেন। ২০০৬ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১২ সালে তিনি বেইজিংয়ে কনসার্ট আয়োজন করেন। ২০১৪ সালে তিনি হংকংয়ে আবারও ৮টি কনসার্ট আয়োজন করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'চাঁদের মাধ্যমে ভালবাসা প্রকাশ করি' নামের গান। গানটি ২০০০ সালে রিলিজ হয়।

বন্ধুরা, শুনছিলেন স্যু সিয়াও ফেংয়ের কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদেরকে কন্ঠশিল্পী তু লং গাংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি ১৯৬৭ সালের মার্চ মাসে বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কন্ঠশিল্পী ও অভিনেতা। তিনি National Academy of Chinese Theatre Arts থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি রেলওয়ে শিল্প গ্রুপে যোগ দেন। তখন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিনোদনজগতে প্রবেশ করেন। প্রথমে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'আমার উপপত্নীকে বিদায়' নামের গান শোনাবো। 'আমার উপপত্নীকে বিদায়' হল চীনের ঐতিহ্যগত অপেরার নাটক। তু হং গাংয়ের কন্ঠে গানটিতে চীনা অপেরার বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন তু হং গাংয়ের কন্ঠে 'আমার উপপত্নীকে বিদায়' শীর্ষক গান। ১৯৮৮ সালে ২১ বছর বয়সী তু হং গাং চীনের তৃতীয় জাতীয় যুব কন্ঠসংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ১৯৯০ সালে তিনি সিসিটিভি'র বসন্ত উত্সবের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সারা চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৯৬ সালে তাঁর কন্ঠে গান চীনের এমটিভি'র স্বর্ণপদক লাভ করে। তাঁর গানগুলোয় চীনা অপেরা ও লোকসংগীতের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। ২০১১ সালে তিনি বিশ্ব ট্যুর করেন। ২০১৫ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'সবচেয়ে রোমান্টিক বিষয়' নামের গান শোনাবো। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন তু হং গাংয়ের কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি কন্ঠশিল্পী আন লাই নিংয়ের কন্ঠে 'উলান বাটরের রাত' নামের গান শোনাবো। আন লাই নিং চীনের একজন ওয়েবসাইট কন্ঠশিল্পী। তাঁর কন্ঠে গান ওয়েবসাইটে খুবই জনপ্রিয়। 'উলান বাটরের রাত' নামের গান মঙ্গোলিয়ার 'চেংগিস খান' নামের ব্যান্ড ১৯৮৫ সালে রচনা করেছিল। গানটি মঙ্গোলিয়া ও চীনে এখনো খুবই জনপ্রিয়। চীনের অনেক বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী গানটি গেয়েছেন। আশা করি, আপনারা আন লাই নিংয়ের কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন।

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040