উঁচু স্থান থেকে দূরের দিগন্ত দেখে বিশ্ব অর্থনীতির সঠিক দিকনির্দেশনা আয়ত্ত করতে হয়, কেন?
  2018-12-01 20:04:48  cri

ডিসেম্বর ১: গতকাল (শুক্রবার) আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টির ত্রয়োদশ শীর্ষসম্মেলনে 'উঁচু স্থান থেকে দূরের দিগন্ত দেখে বিশ্ব অর্থনীতির সঠিক দিকনির্দেশনা আয়ত্ত করার' আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

গত ১০ বছরে জি-টোয়েন্টির শীর্ষসম্মেলন বিশ্ব প্রশাসনে পরিচালনামূলক ভূমিকা পালন করেছে। র্বমানে বিশ্ব অর্থনীতির বিষয় উল্লেখ করলে সবার মনে পড়ে বিশ্ব অর্থনীতির অবনতিশীলতা, একতরফাবাদ এবং সংরক্ষণবাদের মুখে বিশ্ব বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা। বিভিন্ন দেশ অব্যাহতভাবে বিশ্বায়ন এগিয়ে নেবে ও সহযোগিতা জোরদার করবে নাকি বৈরি হবে? নিজ নিজ দেশের স্বার্থ বিশ্ব স্বার্থের ওপর রাখবে?

এ সব সমস্যা সমাধান করতে এবং নিজ ও বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য তারা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এ সিদ্ধান্ত নিতে সকল রাজনীতিবিদদের 'উঁচু স্থান থেকে দূরের দিগন্ত দেখে বিশ্ব অর্থনীতির সঠিক দিকনির্দেশনা করার' দাবি জানানো হচ্ছে।

উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন দেশকে অবাধ বাণিজ্য রক্ষা ও নীতিমালা ভিত্তিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক ব্যবস্থা রক্ষা করতে হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।

জি-টোয়েন্টির শীর্ষসম্মেলন চলাকালে চীন, রাশিয়া, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিক ব্রিক্স শীর্ষ নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ভিত্তিতে বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক ব্যবস্থা সমর্থনে মতৈক্য অর্জিত হয়েছে।

ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটে জি-টোয়েন্টির সব দেশ একই অবস্থানে অর্থনৈতিক নীতি প্রবর্তন করেছে বলে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। জি-টোয়েন্টির দেশগুলোর জিডিপি'র পরিমাণ বিশ্ব অর্থনীতির পরিমাণের ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তাই দেশগুলো তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে বা বিপরীতে আগাবে, তা বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নের দিক ও বিভিন্ন দেশের জনগণের স্বার্থের নির্ণায়ক উপাদান।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের আজ (শনিবার) প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এ এ মন্তব্য করা হয়। (রুবি/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040