কফিহাউসের আড্ডা: বাংলা জাতি'র চেতনা জাগরণে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা
  2018-11-30 15:05:32  cri


জীবন চলার পথে 'কত স্বপ্নের রোদ ওঠে, আর কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়! কতজন এলো-গেলো কতজনই আসবে- কফিহাউসটা শুধু থেকে যায়।' প্রিয় বন্ধুরা, কফিহাউসও থাকবে এবং আমিও এখন থেকে বাকি ২০ মিনিট থাকব আপনাদের সঙ্গে; শেয়ার করব জীবনের অনেক কথা।

সুপ্রিয় শ্রোতা আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। সাপ্তাহিক 'কফিহাউসের আড্ডা' অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের আকষর্ণে তাকে নিয়ে গবেষণা করার প্রবণতা কখনো কমেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরেটার্স অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বহু দিন ধরে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গবেষণা করছেন। আজকের আড্ডায় আমার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

২০০১ সালে বাংলাদেশের ৩০জন রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞদের লেখা প্রবন্ধ সংগ্রহ করে 'রবীন্দ্রনাথ' নামক একটি বই সম্পাদিত এবং প্রকাশ করেছেন। তখন কি উপলক্ষ্যে এ বই প্রকাশ করা হয়েছে এবং বই সম্পাদনের প্রক্রিয়া আমাদের একটু জানাবেন?

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একজন প্রতিনিধি হিসেবে রবীন্দ্রনাথ বাংলা জাতি'র চেতনা জাগরণে কেমন ভূমিকা পালন করেছিল? স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা কিভাবে মূল্যায়ন করা উচিত?

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িকা হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু ‌স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬২ সালে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গবেষণার একটি বইও প্রকাশিত হয়নি। এর পেছনে কারণটা কি?

বাংলাদেশে রবীন্দ্রচর্চা বলতে গেলে কবে থেকে শুরু হয়? তাতে উল্লেখযোগ্য গবেষক বা তাদের ভূমিকা আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

বর্তমান বাংলাদেশে রবীন্দ্রচর্চার অবস্থা কেমন? এ অবস্থা নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট? এখন কি কি নতুন প্রবনতা দেখা দিয়েছে?

সুপ্রিয় শ্রোতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান খানের রবীন্দ্রনাথ গবেষণার মতামত। আজকের খোলামেলা এপর্যন্ত। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামনের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:

আনিসুজ্জামান (জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭) বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক। তিনি প্রত্যক্ষভাবে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিযে তাঁর গবেষণা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি একজন প্রফেসর অ্যামিরিটাস। ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বর্তমানে তিনি শিল্পকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা যামিনী এবং বাংলা মাসিকপত্র কালি ও কলম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাহিত্যের জন্য ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'পদ্মভূষণ' এ ভূষিত হয়েছেন।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040