"বার্লিনে আমিও চা খাই। চীন আমার দ্বিতীয় জন্মস্থান। যখন আমি চা খাই, তখন আমার চীনের স্মৃতি চায়ের সঙ্গে ভেসে ওঠে।" এ কথা বলেন অ্যালেক্স লুডভিগ, তিনি অনেক বছর ধরে চীনে অধ্যয়ন করেছেন।
সম্প্রতি জার্মানির বেশ কয়েকজন মানুষ চা সংস্কৃতিতে উত্সাহীদের নিয়ে প্রথম 'বার্লিন চা সংস্কৃতি উত্সব' আয়োজন করে। উত্সবটি একটি গির্জা থেকে শুরু হয়ে স্থানীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চা প্রদর্শনী, চা আর্ট সেমিনার, চা অনুষ্ঠান ও ধ্যান, পেইন্টিং এবং চা, থাইচি এবং চাসহ বিভিন্ন চা-থিমযুক্ত কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। মোট দুই হাজার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে।
এই চা সংস্কৃতি উৎসবের আয়োজকদের মধ্যে লুডভিগ একজন। তিনি চা সংস্কৃতি উত্সবের বিভিন্ন প্রকল্প সাংবাদিকদের কাছে চীনা ভাষায় বর্ণনা করেন।
"পেইন্টিং, কবিতা, ধ্যান, সংগীত বা শিক্ষার সঙ্গে চা ভালোভাবেই যায়; বিশেষত চীনা ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি অনেক ক্ষেত্রে যা চাতে সাধারণ কিছু আছে।" লুডভিগ বলেন, "আমি চা সংস্কৃতি থেকে শান্তি পাই।"
লুডভিগ সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ করে তিনি ছোটবেলা থেকেই চা পছন্দ করতেন।
অতএব, চা-এর প্রতি তার বাড়তি আগ্রহ আছে। পরে তিনি চীনে এসে লেখাপড়া করে এবং চা সংস্কৃতি অধ্যয়ন করেন।
বর্তমানে বার্লিনে একটি চীনা সংস্কৃতি সংস্থায় কাজ করছেন তিনি।