1123xinhuo
|
'আর হু' হচ্ছে চীনের বিখ্যাত তার টানার একটি বাদ্যযন্ত্র। খৃষ্টীয় সপ্তম থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যে চীনের থাং রাজবংশের আমলে এটির জন্ম হয়। এসময় উত্তর- পশ্চিম চীনের সংখ্যালঘু জাতিগুলোর মধ্যে তার প্রচলন ছিল। এক হাজারেরও বেশি বছরের ইতিহাসে 'আর হু' বরাবরই অপেরার জন্যে একটি সহযোগী বাদ্যযন্ত্র।
'আর হু'র গঠন খুবই সহজ। কাঠের তৈরি একটি সরু দণ্ড , ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা। দণ্ডে লাগানো রয়েছে দুটো তার। দণ্ডের নীচে বসানো রয়েছে পেয়ালা আকারের ক্যানিস্টার। আর আছে ঘোড়ার লেজ দিয়ে তৈরি ধনুক। 'আর হু' বাজানোর সময় শিল্পীদের বসতে হয়। তারা বাম হাত দিয়ে 'আর হু' ধরেন এবং ডান হাত দিয়ে ধনুক ধরেন। 'আর হু'র সুরের ক্ষেত্র ৩টি অষ্টক ধ্বনীতে উন্নীত হতে পারে। 'আর হুর' আওয়াজের প্রচুর প্রকাশ-শক্তি রয়েছে। এটির সুর মানুষের আওয়াজের কাছাকাছি বলে 'আর হু' ইতোমধ্যেই গান করার এক রকম বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এই কারণে কেউ কেউ এটিকে 'চীনের বেহালা' বলে অভিহিত করেন। যেহেতু 'আর হুর' আওয়াজ একটু বেদনাময়, সেহেতু তা দিয়ে গভীর ভাবানুভূতি প্রকাশ করা হয় ।
বন্ধুরা, তাহলে প্রথমেই শুনুন, 'আ হু' সুর 'প্রথম কনসার্টো'। শুনুন সুরটি।
প্রিয় শ্রোতা, চীনের 'আর হু' পাশ্চাত্যের বেহালার মতোই। তাই চীনের 'আর হু' শিল্পী বিয়ান লিউ নিয়ান 'আর হু' দিয়ে বেহালা সুরে বাজিয়েছেন। শুনুন 'শিন হুও' সুরটি।
সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের এ সময়ের 'সুরের ধারা' অনুষ্ঠান এ পর্যন্তই। শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামীতে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন। (স্বর্ণা/টুটুল)