181125
|
বন্ধুরা, কয়েকদিন আগে আমরা এ অনুষ্ঠানে চীনের " ১১, ১১" অর্থাত " double 11" ইন্টারনেট শপিং উত্সবের পরিচয় তুলে ধরেছি, তাই না? আজ আমরা প্রথমেই এ সম্পর্কিত একটি খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
টুটুল :চীনের 'সিঙ্গেলস ডে'তে ২০ লাখেরও বেশি বিদেশি ভোক্তা অংশ নিয়েছেন
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাও ফেং সম্প্রতি জানান, এ বছরের ১১ নভেম্বর বা চীনের 'সিঙ্গেলস ডে'র কেনাকাটা উত্সবে ২০ লাখেরও বেশি বিদেশি ভোক্তা অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, "নভেম্বর ১ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত, আমদানিকৃত বিদেশি পণ্যের বিক্রির অর্থমূল্য ছিল ৩০০০ কোটি ইউয়ান। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি শীর্ষ ৫টি আমদানি দেশ। চীনের একটি বিখ্যাত অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমদানি হয়েছে ৭৫টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ১৯০০০০ বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য। এর পাশাপাশি, ১১ নভেম্বর প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বিদেশি ক্রেতা মোট ৩০০ কোটি ইউয়ানের পণ্য কিনেছেন।
আকাশ: ভাই, তুমি 'সিঙ্গেলস ডে' ইন্টারনেট কেনাকাটা উত্সবে কোনো জিনিস কিনেছো?
টুটুল: (আপনার কিছু অনুভূতি)
আকাশ:আমিও কিছু জিনিস কিনেছি এ বারের সিঙ্গেলস্ ডে ইন্টারনেট কেনাকাটা উত্সবে। সত্যি অনেক সস্তা। কারণ এসময় কিছু ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়।আশা করি প্রতিদিন সিঙ্গেলস্ ডে ইন্টারনেট কেনাকাটা উত্সব হবে, তাহলে প্রতিদিন বড় ডিসকাউন্ট থাকবে এবং দেশ-বিদেশের সব ভোক্তাদের সুবিধা হবে এবং তারা প্রতিদিন খুশি থাকবেন।
আকাশ: সুপ্রিয় বন্ধুরা, এখন আমরা চীনের একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়ের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কেমন?
ভাই, তুমি জানো? আমার জীবনে একবার বিশাল একটা সুযোগ এসেছিলো।
টুটুল: তাই, কি সেটা?
আকাশ: আমি একবার খেলোয়াড় তেং ইয়া পিংয়ের সাথে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তিনি খুবই ভালো মানুষ। তিনি সব সময় আমাকে উত্সাহিত করেন।
টুটুল: বন্ধুরা, তেং ইয়া পিং হচ্ছেন পিংপং অর্থাত টেবিল টেনিস ইতিহাসে মহা নারী খেলোয়াড়। তিনি ৫ বছর বয়স থেকে বাবার কাছে টেবিল টেনিস খেলা শিখতে শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি চীনের জাতীয়দলে অংশগ্রহণ করেন। মোট ১৪বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন। একটানা ৮ বছর বিশ্ব টেবিল টেনিস র্যাংকিংয়ে ১ নম্বর অবস্থান বজায় রেখেন। এ রেকর্ড এখনও কেউ ভঙ্গ করতে পারেন নি।
তেং ইয়া পিংয়ের বাবা হচ্ছেন একজন কোচ। এজন্য ছোটবেলা থেকেই খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তেং ইয়া পিং। কিন্তু তার উচ্চতা বেশি না হওয়ায় তিনি খেলাধুলার স্কুলে ভর্তি হতে পারেন না। এজন্য তিনি খুব ছোটবেলা থেকে তার বাবার কাছে টেবিল টেনিস শেখা শুরু করেন।
বাবা জানান, তেং ইয়া পিং প্রতিদিন শারীরিক প্রশিক্ষণের পর প্রয়োজনীয় স্কিল চর্চা করতে থাকে। তার বয়স যখন ৭ বা ৮, তখন তাঁর টেবিল টেনিস ক্ষমতা ও প্রযুক্তি এবং শক্তি আরো বাড়ানোর জন্য, তেং ইয়া পিংয়ের পায়ে বালির বস্তা যুক্ত করে দেন এবং কাঠের ব্যাটের পরিবর্তে লোহার ব্যাট দেন। তিনি আঘাত পেলেও কখনো পরিশ্রম করা ছেড়ে দেন নি। তেং ইয়া পিংয়ের কষ্ট দেখে তার বাবার চোখে পানি আসতো। তার অধ্যবসায়ের কারণেই মাত্র দশ বছর বয়সে তিনি জাতীয় তরুণ পিংপং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন।
জাতীয়দলে প্রবেশের পর, তেং ইয়া পিং সবসময় রুটিনের চেয়েও বেশি চর্চা করেন। টিমের নিয়ম হচ্ছে প্রশিক্ষণের সময় সকাল ১১ টা পর্যন্ত, কিন্তু তিনি ১১: ৪৫ পর্যন্ত চর্চা করেন,বিকেলে টিমের নিয়মে প্রশিক্ষণ ৬টা পর্যন্ত, তিনি ৬:৪৫ বা ৭:৪৫ পর্যন্ত চর্চা করেন। নিয়ম অনুযায়ী রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা, কিন্তু তিনি রাত ১১টারও বেশি সময় পর্যন্ত চর্চা করেন। অতিরিক্ত চর্চার কারণে মাঝে মাঝে তেং ইয়া পিং খাবারের সময়ের কথা ভুলে যেতেন। তিনি চর্চা শেষ করার পর ক্যান্টিনে কোনো খাবার পেতেন না। তখন তিনি নিজে নুডলস বানিয়ে খেতেন।
প্রতিবার প্রশিক্ষণের পর, দেখা যেত তার জামাকাপড়, জুতা এমনকি মেঝে ঘামে ভরে যেত। এ জন্য পোশাক, জুতা, মোজা ও পিংপংয়ের টেবিল পরিবর্তন করতে হতো। তারপর আবার অব্যাহতভাবে প্রশিক্ষণ শুরু হতো। লম্বা সময় প্রশিক্ষণ ও অনেক অতিরিক্ত প্রতিযোগিতার কারণে তেং ইয়া পিংয়ের সারা শরীরে ইনজুরি দেখা দিতো। তার শরীরে অনেক ব্যথা থাকতো। কিন্তু এসব ব্যথা বা ইনজুরি তাকে কখনোই প্রতিযোগিতা বা প্রশিক্ষণ থেকে দূরে রাখতে পারতো না।
আকাশ: ভাই, আমি তেং ইয়া পিংয়ের গল্প শুনে অনেক মুগ্ধ এবং উতসাহিত। আমি তার চেয়ে সত্যি অনেক অলস। আসলে একজন মানুষের সত্যিকারের শত্রু সে নিজেই। মানুষ কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে, তার উপর নির্ভর করে সে কতটা স্বাধীন এবং সে তার স্বপ্নকে কতটা বাস্তবায়ন করতে পারে। তেং ইয়া পিংয়ের গল্প শুনে তোমার কেমন লেগেছে ভাই?
টুটুল:
আকাশ: আচ্ছা, বন্ধুরা, আমরা এখন কিছু মজার টপিক নিয়ে কথা বলবো, কেমন?
টুটুল: কি ভাই? বিরিয়ানি, খিচুরির কথা বলবো?
আকাশ: হাহা, আমরা কিছু কিছু ভ্রমণের কথা বলবো, কেমন?
টুটুল: ভাই, আপনি জানেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া, ছুটিতে বেশি বেশি ভ্রমণ করা, সুন্দর সুস্বাদু খাবার খাওয়া। আকাশ ভাই, এটা ভেবে আমি ঘুমাতে পারি না, হাহা।
আকাশ: তুমি যদি তেং ইয়া পিং আপার মত পরিশ্রম করো, তাহলে অবশ্যই তোমার মনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে। ভাই, তুমি আসলে ইতোমধ্যে কয়েকদিনের জন্য তোমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছ, তাইনা?
টুটুল: হ্যাঁ। আমি কুয়াং চৌয়ে গিয়েছিলাম।
আকাশ: বিমানে?
টুটুল: না, দ্রুতগতির ট্রেনে।
আকাশ: কেন বিমানে যাওনি?
টুটুল:আমি দ্রুতগতির ট্রেন ভীষণ পছন্দ করি।
আকাশ: কেন? আচ্ছা, তুমি কি দ্রুতগতির ট্রেনের অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারো?