সম্প্রতি চীনের শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম চীন আর্ন্তজাতিক আমদানি মেলা। এতে বাংলাদেশের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ উচ্চপ্রযুক্তি উদ্যান কর্তৃপক্ষ, পাট বৈচিত্র্যকরণ উন্নয়নকেন্দ্র (জেডিপিসি), ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশানসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ করে।
আমদানি মেলার উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন আফগানিস্তানের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী ও সার্কের বাণিজ্য সমিতির মহাসচিবসহ অনেক বিদেশি নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং ওষুধ, পোশাক, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য বিভিন্ন রফতানিপণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্যময় সূচিকর্ম, হাতে-বোনা কাপড়, পাটজাত পণ্য দেখে অনেক পছন্দ করেন এবং তাঁরা বাংলাদেশের ওষুধ, পোশাক, মাটির শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এবার মেলার প্রদর্শক লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্রেসিডেন্টের সহকারী ছু চি ওয়ে বলেন, এ মেলা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম আমদানিবিষয়ক বড় আকারের জাতীয় মেলা। মেলায় ৪ লাখ ক্রেতা এতে অংশ নেয় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহযোগিতায় যোগ দেয়। চীন বিশ্বের সামনে নিজের বাজার উন্মুক্ত করে দিয়েছে এবং আমদানি বাড়াচ্ছে। নানা দেশের সঙ্গে নতুন যুগে চীন উন্নয়নের সুযোগ ভাগাভাগি করছে এবং অভিন্ন সমৃদ্ধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তুংলিয়ান ফ্যাশন (বিডি) লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ওয়াং কুয়ান ইউন বলেন, ২০১১ সালে চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবের আলোকে তাঁর কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এবং পোশাক তৈরির কারখানা চালু করে। বাংলাদেশে কোম্পানির ৩১০০ জন কর্মীর ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশি।