বৈঠককালে চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন ও অস্ট্রেলিয়া পরস্পরের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী অংশীদার। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন সরকার গঠনের পর এবার দু'দেশের মধ্যে প্রথম শীর্ষবৈঠক এবং দ্বিপাক্ষিক জটিল সম্পর্কের সন্ধিক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। দু'দেশের মধ্যে মতভেদের তুলনায় অভিন্ন স্বার্থ আরো বেশি। সহযোগিতা উভয়ের জন্যই ভালো। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সমতা ও আন্তরিকতার ভিত্তিতে আলোচনা করে মতভেদ দূর করতে ইচ্ছুক চীন।
তিনি আরো বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, চীন ও অস্ট্রেলিয়া পরস্পরের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ভালো ভালো পণ্য চীনের বাজারে রপ্তানিকে স্বাগত জানায় চীন। একটি সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টাও করবে চীন। অবাধ বাণিজ্য ও বহুপক্ষবাদের ক্ষেত্রে অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করতে চীনের আগ্রহের কথা জানান লি খ্য ছিয়াং।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের উন্নয়নকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে মূল্যায়ন করে অস্ট্রেলিয়া। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে চীনের আরো সক্রিয় ভূমিকাকে স্বাগত জানায় অস্ট্রেলিয়া। চীনের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি থেকে অস্ট্রেলিয়াসহ প্রতিবেশী দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। চীনের সঙ্গে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক জোরদার করে বাণিজ্য, পর্যটন ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক অস্ট্রেলিয়া।
(স্বর্ণা/তৌহিদ)