লি বলেন, চীন ও কানাডা উভয়ের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশীদার। চলতি বছর দু'দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়ন চলছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংলাপ ও সহযোগিতায় ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দু'দেশের নিয়মিত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ আয়োজনের মাধ্যমে দেখা যায় যে, চীন-কানাডা সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কানাডার সঙ্গে পারস্পরিক সমান ও সম্মানের ভিত্তিতে দু'দেশের কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করতে ইচ্ছুক চীন।
তিনি আরো বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি' নিয়ে কানাডার পরিমার্জন দেখেছে চীন। আমাদের মতে সংশ্লিষ্ট চুক্তি কানাডা ও অন্য দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অবাধ বাণিজ্য চুক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। তাছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের ওপর চীন একটি উন্মুক্ত মনোভাব বজায় রাখে। সংস্থাটির সংস্কার করলে বিশ্বের অর্থনীতির আরো স্বাস্থ্যকর উন্নয়ন এবং অবাধ বাণিজ্য রক্ষা লাভ করা উচিত।
ট্রুডো বলেন, কানাডা-চীন সম্পর্ক ভালভাবে চলছে, দু'দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বিনিময় রয়েছে। চীনের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক কানাডা। তাঁর দেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কার নিয়ে চীনের সঙ্গে বিনিময় ও সমন্বয় রাখতে ইচ্ছুক।
সংলাপে দু'পক্ষ 'সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত জিনিসপত্র এবং প্লাস্টিক ইস্যু মোকাবিলা-সম্পর্কিত যৌথ বিবৃতি' প্রকাশ করে। (জিনিয়া/টুটুল/লিলি)