প্রবন্ধে তিনি বলেন, আমি খুব শিগগিরি 'স্বর্গের পাখির দেশ' হিসেবে পরিচিত পাপুয়া নিউ গিনি সফর করবো এবং সেখানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা বা এপেকের ২৬তম শীর্ষনেতাদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশ নেবো। এবারের সফর নিয়ে আমি প্রত্যাশায় রইলাম।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রাকৃতিক সম্পদ বৈচিত্র্যময় এবং উন্নয়নের সম্ভাবনা বিশাল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী পিটার চার্লস পাইরে ও'নিলের নেতৃত্বে পাপুয়া নিউ গিনির সরকার ও জনগণের পরিশ্রমে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে এবং সামাজিক ভাবমূর্তিও পরিবর্তিত হচ্ছে।
চীন ও পাপুয়া নিউ গিনির বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় সুদীর্ঘকালের। ১৯৭৬ সালে দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু'দেশ একে অপরকে সম্মান করে আসছে, সমানভাবে পরস্পরের প্রতি আচরণ করে আসছে এবং পারস্পরিক উপকারিতা বাস্তবায়ন করে আসছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলো দু'দেশের সম্পর্ক দ্রুত উন্নয়নের নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। পাপুয়া নিউ গিনি হলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন পাপুয়া নিউ গিনির বৃহত্তম বিদেশি পুঁজির উত্স এবং বৃহত্তম প্রকৌশল ঠিকাদার। চীনের সাহায্যে নির্মিত নানা অবকাঠামো পাপুয়া নিউ গিনির উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় এবারের এপেকের নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এবারের সফরের মাধ্যমে আমি পাপুয়া নিউ গিনি'র সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে, বাস্তব সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে, সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক। (লিলি/টুটুল)