সম্পাদকীয়তে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর চীনের প্রথম আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর ভাষণে- চীনে আরও উন্মুক্তকরণ বাড়ানো, আমদানির সম্ভাবনা বৃদ্ধি এবং বাজারে প্রবেশের নিয়মকানুন শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই গতকাল (মঙ্গলবার) চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ ছটি প্রধান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা চীন ও বিশ্বের উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থ অর্জন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
একই দিন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ছি শান সিঙ্গাপুরে ২০১৮ সালের নব্যতাপ্রবর্তনশীল অর্থনৈতিক ফোরামে বলেন, চীন নিজের কাজ ভালোভাবে করে বিদেশের জন্য উন্মুক্তকরণ নীতিতে অবিচল থাকবে।
বিশ্বের সঙ্গে চীন উন্মুক্ত সহযোগিতা জোরদার করতে চায়। গত ৪০ বছরের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের কারণে চীনের ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। গত ৪০ বছরে চীনের মাথাপিছু আয় ২৫ গুণ বেড়েছে। জিডিপি প্রতি ৮ বছরে দ্বিগুণ হচ্ছে। ৭০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে, যা বিশ্বের দারিদ্র্যমুক্ত মানুষের ৭০ শতাংশ।
বর্তমান চীনের স্লোগান উন্মুক্তকরণ। চীন অব্যাহতভাবে উন্মুক্তকরণ বাড়াচ্ছে, যা নিজের পাশাপাশি বিশ্বের জন্য কল্যাণকর। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণে চীনের উন্মুক্তকরণের দরজা আরও উন্মুক্ত হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। চীনের উচ্চমানসম্পন্ন উন্মুক্তকরণ কার্যক্রম থামবে না বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
(রুবি/তৌহিদ)