ভাষণে তিনি বলেন, অর্থনীতির বিশ্বায়ন বিশ্বের ঐতিহাসিক প্রবণতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচিত উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতা জোরদার করা এবং অভিন্ন উন্নয়ন সাধণ করা। চীন আরও উচ্চ মানসম্পন্ন উন্মুক্তকরণ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করবে।
বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক উন্মুক্ত সহযোগিতা জোরদারে তিন দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট সি। ভাষণে তিনি বলেন, সব দেশের বাজার উন্মুক্ত করতে হবে; পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে হবে; নব্যতাপ্রবর্তনভিত্তিক সহনশীল ও কল্যাণকর অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, বিভিন্ন দেশের উচিত দৃঢ়ভাবে সংরক্ষণবাদ ও একতরফাবাদের বিরোধিতা করা; নিজেদের বাজার উন্মুক্তকরণের কাজ অব্যাহত রাখা; পারস্পরিক অর্থনৈতিক সংযুক্তি ও বিনিময়ের জন্য কাজ করা; যৌথভাবে উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলা; সামষ্টিক আর্থিক নীতিমালা সমন্বিত করা; ন্যায়সঙ্গত, যুক্তিযুক্ত ও স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নীতিমালা গড়ে তোলা; বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এবং সার্বিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও উন্মুক্ত করার চেষ্টা করা।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের উচিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিল্পে সংস্কারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে, ডিজিটাল অর্থনীতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে সহযোগিতা জোরদার করা এবং যৌথভাবে নতুন প্রযুক্তি ও নতুন শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করা।
(রুবি/তৌহিদ)