ভোজসভায় সি চিন পিং বলেন, শাংহাই আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা চীনের এবং বিশ্বের। এটি কোনো সাধারণ মেলা নয়, বরং এই মেলা চীনকে বিশ্বের সামনে আরও উন্মুক্ত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি বলেন,
"চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা চীনের এবং বিশ্বের। এটি সাধারণ অর্থের একটি মেলা নয়। এটি চীনের নিজেকে বিশ্বের সামনে আরও উন্মুক্ত করার পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী ছয় দিনে বিশ্বের ১৭২টি দেশ, অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বের সামনে নিজ নিজ সাফল্য ও দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরবে। বিভিন্ন দেশের ৩৬০০টিরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবে।"
সি চিন পিং বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিশ্বের অর্থনীতির পরিচালনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন,
"এটি একটি আড়ম্বরপূর্ণ মেলা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বন্ধুরা এতে লাভবান হবেন। আমি বিশ্বাস করি, বিভিন্ন পক্ষের সমর্থন এবং যৌথ চেষ্টায়, চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা নিশ্চয়ই একটি উচ্চ মানের আন্তর্জাতিক মেলা হবে। এই মেলা আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়ন, এবং বিভিন্ন দেশের জনগণের কল্যাণে সক্রিয় অবদান রাখবে।"
একই দিনে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নুয়েন সুয়ান ভুক ও লাউসের প্রধানমন্ত্রী থুংলুন সিসুলিথের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাত করেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের বেইজিং শীর্ষসম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি ও কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ঐকমত্যে পৌঁছান। রোববারের সাক্ষাতে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও কেনিয়ার উচিত বেইজিং শীর্ষসম্মেলনের সাফল্য ধরে রাখা এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের আওতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত করা। সি চিন পিং বলেন,
"মেলায় অংশগ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট কেনিয়াত্তা আমাদের সমর্থন দিলেন। আমি এর প্রশংসা করি। আমি আশা করি, কেনিয়া এবারের মেলার সুযোগে নিজ দেশের বৈশিষ্ট্যময় পণ্য তুলে ধরবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে।"
জবাবে কেনিয়াত্তা বলেন, "চীনের বাজার উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে কেনিয়া। কেনিয়া চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অব্যাহতভাবে উন্নত করবে এবং বহুপক্ষবাদ ও বিশ্বের অবাধ বাণিজ্যব্যবস্থা রক্ষা করতে ও মানবজানির অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য অবদান রাখতে ইচ্ছুক। আমরা অনেক আগ্রহ নিয়ে মেলায় এসেছি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং 'উন্নয়ন হল সব সমস্যা সমাধানের উপায়' বলে যে-মন্তব্য করেছেন, আমি তার সঙ্গে পুরোপুরিভাবে একমত।"
(শুয়েই/আলিম)