বস্তুত, ২০১২ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট সি বহু অনুষ্ঠানে তাঁর পরিশ্রম ও সুখের ধারণা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, পরিশ্রমের মাধ্যমে সুখ পাওয়া যায়।
২০১২ সালে সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটি'র সম্পাদকের পদে নিযুক্ত হওয়ার পর, সি চিন পিং বহুবার লিয়াংচিয়াহোর উল্লেখ করেছেন। তিনি তরুণ বয়সে সাত বছর লিয়াংচিয়াহোতে কাটিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সি বলেন, লিয়াংচিয়াহোতে তাঁর অভিজ্ঞতা তাকে অনেককিছু বুঝতে সাহায্য করেছে। সত্য কী? বাস্তব তথ্যাবলী থেকে সত্যের সন্ধান করার অর্থ কী? নাগরিকের দায়িত্ব কী? এইসব প্রশ্নের উত্তর তিনি এই গ্রামে থাকাকালে পেয়েছেন। আসলে ওই সাত বছর সি চিন পিং স্থানীয় নাগরিকদেরকে নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেন। তিনি এই সাত বছরে পরিশ্রম ও সুখের ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রথম সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ভাষণে চীনা জনগণের পরিশ্রমী চরিত্র ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন,
"চীনা জনগণ পরিশ্রমী। কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখি, চীনা জনগণ বরাবরই সংস্কার ও বিপ্লবের জন্য পরিশ্রম করে গেছে। প্রাচীনকাল থেকেই চীনা জনগণ বুঝেছিল যে, পরিশ্রমের মাধ্যমে সুখ পাওয়া যায়। আমি বিশ্বাস করি, অব্যাহত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা আরও সুন্দর জীবন সৃষ্টি করতে সক্ষম হব।"
সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন থেকে এ পর্যন্ত চীনা প্রেসিডেন্ট সি তাঁর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে 'পরিশ্রম' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। উনবিংশ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের প্রতিবেদনে প্রায় ৩০ বার 'পরিশ্রম' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালের বসন্ত উত্সবের অনুষ্ঠানে ২২ বার 'পরিশ্রম' শব্দটি ব্যবহার করেন। ত্রয়োদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের সম্মেলনে তিনি তাঁর ভাষণে ১০ বার 'পরিশ্রম' শব্দটি ব্যবহার করেন।
একটি জাতির মহান পুনরুত্থানের কাজ এক ব্যক্তি বা অল্পকিছু মানুষের দ্বারা সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়। জনগণ একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল তা করা সম্ভব। প্রেসিডেন্ট সি বহুবার সুখ ও পরিশ্রমের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, চীনা জনগণের উচিত যার যার অবস্থান থেকে সুন্দর জীবন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাওয়া। প্রত্যেকের নিজের স্বপ্ন আছে। নতুন যুগ হল স্বপ্ন বাস্তবায়নের যুগ। স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রত্যেকের উচিত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া।