'সীগালের সঙ্গে রঙিন মেঘ'
  2018-11-05 08:17:10  cri



বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদেরকে চীনের তাইওয়ানের নারী কন্ঠশিল্পী কাও শেং মেই'র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি ১৯৬৯ সালের ২৭ জানুয়ারি তাইওয়ানের কাওস্যিয়ং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'সীগালের সঙ্গে রঙিন মেঘ' নামের গান শোনাবো। গানটি ১৯৮৯ সালে রিলিজ হয়। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। চলুন, আমরা এখন গানটি শুনবো।

১৯৮৭ সালে তাইপেই'র নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি রেকর্ড কোম্পানি গায়ক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। তখন ১৮ বছর বয়সী কাও শেং মেই বন্ধুর সঙ্গী হিসেবে পরীক্ষা দিতে যান। কিন্তু বন্ধু পরীক্ষায় পাস করেননি, তিনি পাস করেছেন। তখন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। তাঁর গাওয়া গান বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। গানের মাধ্যমে কাও শেং মেই চীনের তাইওয়ানের বিখ্যাত লেখিকা ছিয়ং ইয়াওর মনোযোগ আকর্ষণ করেন। কাও শেং মেই ১৯৮৯ সাল থেকে ছিয়ং ইয়াও'র টিভি সিরিজের থিম সং গাওয়া শুরু করেন। এখন আমি আপনাদেরকে 'পরিবর্তনযোগ্য বিশ্ব' নামের গান শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন কাও শেং মেই'র কন্ঠে 'পরিবর্তনযোগ্য বিশ্ব' নামের গান। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। সে-বছর চীনের মূল ভূভাগের বাজারে অ্যালবামটি বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে তিনি চতুর্থ অ্যালবাম বের করেন। ১৯৯২ সালে তিনি তাইওয়ানের চতুর্থ গোল্ডেন মেলোডি শ্রেষ্ঠ নারী কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'এক হাজার বছরে একবার অপেক্ষা করি' নামের গান। গানটি ১৯৯২ সালে রিলিজ হয়। গানটি একটি টিভি সিরিজের থিম সং। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন কাও শেং মেই'র কন্ঠে 'এক হাজার বছরে একবার অপেক্ষা করি' নামের গান। কাও শেং মেই হলেন তাইওয়ানের স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁর মা থাওইয়ান থানা বুনং জাতির স্থানীয় বাসিন্দা, বাবা একজন পুলিশ। তাঁর তিন ভাই-বোন আছে। ১৯৭৭ সালে তিনি কাওস্যিংয়ের সংগীত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করেন। তখন থেকে তিনি নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৮২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি তাইওয়ানের টিভিকেন্দ্রের সংগীত প্রশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত কাও শেং মেই মোট ৫৯টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন ও ৬ শ'রও বেশি গান গেয়েছেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'নদীর তীরে সবুজ ঘাস' নামের গান শোনাবো। গানটি ১৯৯২ সালে রিলিজ হয় এবং একটি টিভি সিরিজের থিম সং।

বন্ধুরা, শুনছিলেন কাও শেং মেই'র কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদরেকে চীনা কন্ঠশিল্পী ছেন শু শেং'র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি ১৯৮১ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইনান প্রদেশের সানইয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কন্ঠশিল্পী, অভিনেতা, সংগীত-প্রযোজক, জাতীয় যুব ফেডারেশনের সদস্য, হাইনান যুব ফেডারেশনের সদস্য এবং ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক গেমসের একজন মশালধারী। আজকের অনুষ্ঠানে আমি প্রথমে তাঁর কন্ঠে 'পরস্পরকে ভুলে যাবো' নামের গান শোনাবো। গানটি ২০১০ সালে রিলিজ হয়। গানটি একটি চলচ্চিত্রর থিম সং। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন ছেন শু শেং'র কন্ঠে 'পরস্পরকে ভুলে যাবো' নামের গান। ২০০১ সালে তিনি শাংহাই ওরিএনটাল টিভি কেন্দ্রসহ ১৮টি টিভি কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে 'এশিয়া নতুন কন্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতা'-র 'সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল নতুন কন্ঠশিল্পী'-র পুরস্কার লাভ করেন। তখন ছেন ছু শেং'র বয়স ২০ বছর। ২০০৩ সালে তিনি ছাংশা শহরে আয়োজিত জাতীয় পাব কন্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হন। তখন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইএম সংগীত কোম্পানিতে যোগ দেন এবং সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে তিনি নিজস্ব ব্যান্ড গড়ে তোলেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'ঝরাপাতা দেখে শরত্কাল চিনেছি' নামের গান শোনাবো। গানটি ২০১০ সালে রিলিজ হয়। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040