বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের আমদানি-রপ্তানি মেলা রয়েছে। সেগুলোর তুলনায় 'প্রথম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা' ভিন্ন ধরনের। এতে প্রতিষ্ঠান ও দেশীয় প্রদর্শনীর পাশাপাশি মালামাল বাণিজ্য ও পরিষেবা বাণিজ্য থাকবে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনাসভাও আয়োজিত হবে।
এ মেলার বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত: মেলার আকার ব্যাপক। মোট আয়তন ৩ লাখ বর্গমিটার। দু'বার আয়তন বাড়ানোর পরও প্যাভিলিয়নের সংকট দেখা দেয়। দ্বিতীয়ত: অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা অনেক বেশি। ১৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিতে যাচ্ছে। জি টোয়েন্টি সদস্য দেশ, ব্রিকস সদস্য ও শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশ এ মেলায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। তৃতীয়ত: মেলায় প্রদর্শিত হবে ব্যাপক গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য। অংশগ্রহণকারী তিন হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৫০০ প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে বিশ্বায়ন বিরোধিতা ও বাণিজ্য সংরক্ষণবাদ মাথাচাড়া দেওয়া ও বিশ্ব অর্থনীতির অবনতির প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারা চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে চীনের বাজারে প্রবেশের আশা করছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ব রোবট খ্যাত কুকা, এবিবি তাদের সর্বশেষ পণ্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে।
বর্তমানে চীনের অর্থনীতি গুণগতমানের উন্নতির দিকে যাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ভোক্তা খরচের পরিমাণ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ৭৮.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.২ শতাংশ বেশি। চীনের ভোক্তা বাজারের সম্ভাবনা অনেক বেশি হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
(রুবি/তৌহিদ)