1006music
|
বন্ধুরা, শুনছিলেন ফেং স্যিউ ওয়েনের নির্দেশনায় ও চীনের বেতার লোক অর্কেস্ট্রার পরিবেশনায় সংগীত 'লিউশুই ছাও'। ফেং স্যিউ ওয়েন ছোটবেলা থেকে লোক-বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিক্ষা শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি বাণিজ্য বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি ছংছিং গণ বেতারে কাজ শুরু করেন। ১৯৫২ সালে তিনি চীনের কেন্দ্রীয় বেতার লোক অর্কেস্ট্রায় যোগ দেন। তিনি তখন থেকে ধারাবাহিকভাবে লোক-সংগীত রচনা শুরু করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর নির্দেশনায় 'সুন্দর সোলো নদী' শীর্ষক সংগীত শোনাবো। আশা করি, আপনারা সংগীতটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন সংগীত 'সুন্দর সোলো নদী'। ১৯৫৭ সালে তিনি মস্কোয় ষষ্ঠ বিশ্ব যুব অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি হংকংয়ের চীনা সংগীত অর্কেস্ট্রার অতিথি কন্ডাকটর নিযুক্ত হন। একই বছরে তিনি চীনের বেতার লোক সংগীত অর্কেস্ট্রার শিল্প নির্দেশিকার দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর নির্দেশনায় 'নেপালি নৃত্যগীত' শোনাবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন ফেং স্যিউ ওয়েন'র নির্দেশনায় 'নেপালি নৃত্যগীত' নামের সংগীত। তিনি ছোটবেলায় যুদ্ধ দেখেছেন। তাই তিনি ছোটবেলা থেকে হৃদয়ে দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব অনুভব করতেন। তিনি একটি সাহিত্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের অনেক ঐতিহ্যবাহী শিল্পীর মতো নিজের জীবনকে দেশের জন্য উত্সর্গ করতে চেয়েছিলেন। তিনি সবসময় ভাবতেন চীনা জাতির পুনরুজ্জীবনের কথা। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর নির্দেশনায় 'উই পাহাড়ের চা' নামের সংগীত শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা সংগীতটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন ফেং স্যিউ ওয়েন'র নির্দেশনায় 'উই পাহাড়ের চা' নামের সংগীত। তিনি চীনা লোক-সংগীত ও বিদেশি সংগীতের সংমিশ্রণের কাজ করেছেন। সংগীত তাঁর জীবন। তিনি সংগীতের মাধ্যমে জনগণ ও মাতৃভূমির সেবা করেছেন। তিনি পশ্চিমা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও শব্দবিজ্ঞান, অর্কেস্ট্রেশন, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির সংমিশ্রণে চীনা লোক সংগীত অর্কেস্ট্রা গড়ে তোলেন। এটি 'ফেং স্যিউ ওয়েন পদ্ধতি' নামে পরিচিত। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর নির্দেশনায় 'মৈত্রীর বাতাস' নামের সংগীত শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা সংগীতটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন ফেং স্যিউ ওয়েন'র নির্দেশনায় 'মৈত্রীর বাতাস' নামের সংগীত। তিনি ৪০ বছরে ৪ শ'রও বেশি লোক অর্কেস্ট্রাল সঙ্গীত রচনা ও রিঅ্যারেঞ্জের কাজ করেছেন। তাঁর সংগীতে সমৃদ্ধ জীবনের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি অনুভব করা যায়। এ ছাড়া, তিনি চীনা ঐতিহ্যগত অপেরার শৈলী নিজের সংগীতে যোগ করেন। তিনি মারা যাওয়ার পর চীনা সংগীত মহল তাঁকে 'লোক সংগীত মাস্টার' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর নির্দেশনায় 'বেগুনি বাঁশের টিউন' নামের সংগীত শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা সংগীতটি পছন্দ করবেন।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম)